|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আইসক্রিম : সব বয়সি মানুষের পছন্দ আইসক্রিম। আগামী বাজেটে সরবরাহ পর্যায়ে আইসক্রিমের সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ কারণে বাজারে আইসক্রিমের দাম কমতে পারে।
বাস-মাইক্রোবাস : যানজট কমাতে ১৬ থেকে ৪০ আসনবিশিষ্ট বাস আমদানিতে শুল্ক কমতে পারে। বর্তমানে এ ধরনের যানবাহন আমদানিতে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আছে। এটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বাস-মাইক্রোবাসের দাম কমতে পারে।
লবণ : আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদনের ব্যবহৃত পটাশিয়াম আয়োডাইডের দাম বাড়ায় বাজারে লবণের দাম বাড়ছে। তাই আগামী বাজেটে পটাশিয়াম আয়োডাইডের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে বাজারে লবণের দাম কমতে পারে।
চিনি : পরিশোধিত চিনি আমদানিতে সুনির্দিষ্ট শুল্ক টনপ্রতি সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। এতে চিনির দাম কমতে পারে।
শিরিশ কাগজ : শিরিশ কাগজের কাঁচামাল ফেনোলিক রেজিন এবং স্যান্ড পেপার কোটিং ম্যাটেরিয়ালের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে বাজারে শিরিশ কাগজের দাম কমতে পারে।
ক্রিকেট ব্যাট : দেশে ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কারখানার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বিদেশি ক্রিকেট ব্যাটের আমদানি নির্ভরতা কমেছে। দেশীয় এই শিল্পকে আরও উৎসাহ দিতে ব্যাট তৈরির প্রধান কাঁচামাল কাঠ আমদানির শুল্ক ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৬ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বাজারে ক্রিকেট ব্যাটের দাম কমতে পারে।
মনিটর : ২২ ইঞ্চির পরিবর্তে ৩০ ইঞ্চি কম্পিউটার মনিটর উৎপদান ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এতে বড় আকারের কম্পিউটার মনিটর দাম কমতে পারে।
এছাড়াও দাম কমতে পারে-মাখন, পোড়ামাটির প্লেট ও পচনশীল উপাদানে তৈরি গ্লাস, প্লেট ও বাটি ইত্যাদি, জাপানের জনপ্রিয় সি-ফুড স্ক্যালোপ, হোস পাইপ ইত্যাদির। পাশাপাশি জাপানি সিফুড স্ক্যালোপ আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। এতে স্ক্যালোপের দাম কমতে পারে। এছাড়া দাম কমতে পারে বিদেশি মাখন, ড্রিংক ইত্যাদির।
ই-বাইক : স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট ২০৩০ সাল পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ই-বাইকের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক-কর হ্রাস করা হয়েছে। এতে বাজারে ই-বাইকের দাম কমতে পারে।
ব্যাটারি : লিথিয়াম ও গ্রাফিন ব্যাটারি উৎপাদনে উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের বাজারে ব্যাটারির দাম কমতে পারে।
