চ্যাথাম হাউজে মতবিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা
পরবর্তী সরকারের অংশ হওয়ার ইচ্ছা নেই
১৭ বছর পর বাংলাদেশে ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হবে * জুলাইয়ে ‘জুলাই সনদ’ জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে * জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া না হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ড. ইউনূস
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের পর গঠিত পরবর্তী সরকারের অংশ হওয়ার কোনো আগ্রহ তার নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমাদের কাজ হলো সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, যা নির্বাচন দ্বারা সম্পন্ন হবে। ড. ইউনূস বলেন, ১৭ বছর পর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে গত ১৭ বছরে সবচেয়ে নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এটি আমাদের সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। লন্ডনে ৪ দিনের সরকারি সফরে বুধবার যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে বক্তব্য দেওয়ার পর এক প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। বিবিসি বাংলা ও বাসস।
একজন সাংবাদিক জানতে চান, অধ্যাপক ইউনূস কি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পরবর্তী সরকারের অংশ হতে আগ্রহী বা সে ধরনের অবস্থানে রয়েছেন কিনা। উত্তরে অধ্যাপক ড. ইউনূস সাফ জানিয়ে দেন, ‘কোনোভাবেই না, একেবারেই না। আমি মনে করি, আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্য সেটা করতে আগ্রহী হবেন না।’ তাদের দায়িত্ব হলো-যে রূপান্তর চলছে, সেটা ঠিকমতো শেষ করা এবং যখন তারা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন, তখন জনগণ যেন সন্তুষ্ট থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে নির্বাচনটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তিনি বলেন, ঘোষিত সময়টি (আগামী বছরের এপ্রিল) নির্বাচনের সঠিক সময়। ভোটের জন্য প্রস্তুত দেশের জনগণ। এ সময় জুলাইয়ে ‘জুলাই সনদ’ জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতেই আমরা জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে চাই।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ তৈরির জন্য সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কমিশন তৈরি করেছি। আমরা তাদের সুপারিশের দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদের কাজ হলো সব দলের ঐকমত্য তৈরি করা।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া না হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো সদস্য জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। যারা গণহত্যা ঘটিয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত ছিল। বিচার শেষ হওয়ার আগে আমরা জনগণের নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেছি।
সংলাপে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আগে পাসপোর্টসহ বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে ‘মাধ্যম’ প্রয়োজন হতো। যার মাধ্যমে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হতো। এখন সরকারি বিভিন্ন সেবা অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে, যাতে সবাই সহজেই সেবা নিতে পারেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ড. ইউনূস বলেন, ৭ বছর আগে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে যাদের বয়স ৫ মাস থেকে শুরু করে ৫ বা ৭ বছরও ছিল, তারা সবাই এখন যুবক বা কিশোর। মার্কিন সরকার বিভিন্ন কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়ায় এখন তাদের ভরণপোষণ কারা দেবে? তাদের তো থাকার নির্দিষ্ট সময়ও নেই। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এ সময় নারীর অধিকার নিশ্চিতে অন্তর্র্বর্তী সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।
নির্বাচন ‘ফ্রি ও ফেয়ার না হওয়ার’ আশঙ্কা : ‘কয়েকদিন আগে এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন ঘোষণা করেছেন। কিন্তু অনেক বিতর্ক। আর্মি ও কিছু রাজনীতিকরা এ বছরের মধ্যে নির্বাচন চান। আওয়ামী লীগ দল ও শেখ হাসিনা নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে নিষিদ্ধ-যেটা অন্যতম বড় দল। সব মিলিয়ে অনেকেই বলছেন, নির্বাচনটি ফ্রি ও ফেয়ার হবে না’-এমন প্রশ্ন করা হয় অধ্যাপক ইউনূসকে। জবাবে তিনি বলেন, তার মতে এটা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন। ‘সময় সঠিক ও জনগণ প্রস্তুত। যখন আপনি বহু বছর পর একটি নির্বাচন করছেন। ১৭ বছর পর আপনি একটি সত্যিকার নির্বাচন পাচ্ছেন। দেশে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে যে তারা সত্যিই ভোট দিতে যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ১৭ বছরে ভোটাধিকার দেওয়ার বয়স হয়েছে যাদের, তারা তাদের প্রথম ভোট দিতে পারেনি। ‘তারা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছে ভোট দেওয়ার জন্য। তাদের কণ্ঠকে কখনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, যেটা আমরা বলছি যে নতুন বাংলাদেশ।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচনটি একটা নতুন সরকার নির্বাচনের জন্য রুটিন ভোট নয়, এটা নতুন বাংলাদেশের জন্য ভোট।
‘আমরা এই অঙ্গীকারই করেছি, যেসব তরুণরা জীবন দিয়েছে তাদের স্বপ্নকে সম্মান করব পুরোনো বিদায় করবে নতুন বাংলাদেশের জন্য। আমরা পুরোনো বাংলাদেশকে বিদায় বলে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই, ‘বলেন তিনি। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশের জন্য তারা তিনটি বিষয় চিহ্নিত করেছেন- এর একটি হলো সংস্কার। ‘আমরা সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে চাই। সেজন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কমিশন করেছি। যাতে মৌলিক পরিবর্তন করা যায়। অনেক সুপারিশ এসেছে। নির্বাচন, সংসদ, সংবিধান, সিভিল সার্ভিসসহ সবকিছু। আমাদের কাজ হলো সব দলের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘কখনো শুনেছেন এমন কমিশনের কথা? তারা সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে সব দল কোন সুপারিশগুলো গ্রহণ করবে। এটা কঠিন কাজ যে বাংলাদেশের রাজনীতিক ও দলগুলোর একমত হওয়া।’
‘ভোটারের ওপর নির্ভর করছেন না কেন’ : প্রশ্নকর্তা এ সময় বলেন, ‘আমি বলব রাজনীতিকদের জন্য একমত হওয়া কঠিন। দলগুলো তো বলতে পারে যে এটার মধ্যে গণতান্ত্রিক উপাদান নেই। আপনি ভোটারদের ওপর আস্থা রাখছেন না কেন। যে কোনো দলকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আস্থা রাখা। সিদ্ধান্তের জন্য ভোটারের ওপর নির্ভর করছেন না কেন। কমিশনের চেয়ে ভোটারের কাছে যাওয়াই তো ভালো আইডিয়া।’ জবাবে তিনি বলেন, এমনটা যদি তারা পারতেন তাহলে ভালো হতো, কিন্তু অনেক জটিল বিষয় রয়েছে।
‘শেষ পর্যন্ত আপনি কত টাকা দিবেন, আমি ভোট দিব। টাকা দিবেন, ভোট দিব। ভোটের বিষয়টি এমন হতে পারে। আমরা সেদিকে যেতে চাই না। ভোটাররা এ বিতর্ক প্রতিদিন দেখছে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো সব দলের সম্মতিতে পাওয়া সুপারিশগুলো আলাদা করা এবং এরপর সব দলের স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটি উদ্যাপন করা। জুলাই চার্টার জাতির কাছে সেটি উপস্থাপন করা হবে এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, বলেছেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এ কারণেই সংস্কার, সব অপরাধীর বিচার এবং তৃতীয়টি হলো নির্বাচন-এ তিনটি হলো তাদের দায়িত্ব।
‘আওয়ামী লীগ কি একটি রাজনৈতিক দল?’ : এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয় ‘সমালোচকরা বলতে পারে যে কোনো দল চার্টারের সঙ্গে একমত নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আওয়ামী লীগ। সুতরাং আপনি সত্যিকারভাবে জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর কোনো সুযোগ দিচ্ছেন না। এটা তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। এটা ঐকমত্য নয়, এটা আজকের বাংলাদেশে এটা কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপ’।
এই প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সেই বিতর্কও আছে। বিতর্ক হলো আওয়ামী লীগ কি একটি রাজনৈতিক দল? তারা কী এভাবে তরুণদের রাস্তায় খুন করতে পারে? এভাবে গুম করতে পারে? এভাবে টাকা চুরি করতে পারে? এখনো কী তাদের রাজনৈতিক দল বলবেন আপনি? এটা কোনো জাজমেন্ট নয়, এটা বিতর্ক।’
তিনি বলেন, ইস্যুটি হলো ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালাল। জনগণ উৎসব করল যে তারা এখন মুক্ত। প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ের পর ভেবেছিলাম যে ওই চ্যাপ্টার শেষ।
‘কিন্তু যারা পালিয়ে গেছে তারা সেটি অব্যাহত রেখেছে। অন্য দেশ থেকে জনগণকে উসকানি দেওয়া, রাস্তায় লড়াই করা। ১০ মাস হয়ে গেল দলটির কেউ এখনো দুঃখ প্রকাশ করেনি। বলেনি যে না, আমি এর জন্য দায়ী নই। কারও আদেশে কেউ মারা গেছে। আমি খারাপ বোধ করছি যে আমি এর অংশ ছিলাম। কেউ বলেনি, মন্তব্য করেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘রাজপথে তাদের (আওয়ামী লীগ) মিছিল ও অভ্যুত্থানের নেতাদেরসহ হুমকি-ধমকির কারণে আমরা নিরাপদ বোধ করছি না। হুমকি দিচ্ছে অভ্যুত্থানের নেতাদের। তাই জাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে দেশ ও রাজনীতির নিরাপত্তার জন্য একটি সময়ের জন্য আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত। তাদের নিষিদ্ধ করা হয়নি।’
কিন্তু বিচারের বিষয়টি কেন পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের হাতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকার কেন এটি করছে-এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এ সিদ্ধান্ত তিনি নেননি।
‘যারা আমাদের সরকারে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তারা আমাদের এ দায়িত্ব দিয়েছে। তারা তিনটি দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা সেটি গ্রহণ করেছি। সেজন্যই আমরা এগুলো করছি।’
এরপর সংবাদমাধ্যমের ওপর বলপ্রয়োগ বা মিডিয়ার ওপর ক্র্যাকডাউন চালানো হচ্ছে-এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি একদম সত্যি নয়। তারা আর কখনোই এমন স্বাধীনতা ভোগ করেনি।
এই সংলাপে ভারত ও চীনের সঙ্গে তার সরকারের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন এলেও তিনি দাবি করেছেন, সব সরকারের কাছ থেকেই তিনি সমর্থন পেয়েছেন।
প্রসঙ্গ ভারত ও শেখ মুজিবের বাড়ি : ভারত কোন ক্যাপাসিটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাখছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মাসের পর মাস নিষ্ঠুর ঘটনার পর ৫ আগস্ট এসেছে। সব ক্ষোভ এখন চলে গেছে ভারতে। কারণ শেখ হাসিনা সেখানে অবস্থান করছেন।
‘আমি মোদিকে বলেছি, আপনি তাকে (শেখ হাসিনা) রাখতে চাইলে রাখেন কিন্তু আমাদের সহায়তা করুন তিনি যেন বাংলাদেশি জনগণকে উদ্দেশ্য করে কিছু না বলেন। কারণ তিনি বলছেন আর পুরো বাংলাদেশ ক্ষুব্ধ হচ্ছে। মোদি বলেছেন, এটা সামাজিক মাধ্যম, আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। সেটা এখনো চলেছে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন তারা ভারতের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক গড়তে চান ও ভারতের সঙ্গে কোনো সমস্যা চান না। কিন্তু কোনো একটা বিষয় কাজ করছে না। ভারতীয় প্রেস থেকে ভুয়া সংবাদ আসছে। অনেকে বলেন এর সঙ্গে তাদের নীতিনির্ধারকদের সম্পর্ক আছে। এটা বাংলাদেশকে ক্ষুব্ধ করেছে। আমরা এ থেকে বের হতে পারছি না। যখনই কিছু করার চেষ্টা হয়, তখনই ক্ষোভ ফিরে আসে, বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
একজন প্রশ্নকারী অধ্যাপক ইউনূসের উদ্দেশে বলেন, ‘৮ আগস্ট আপনি বলেছিলেন যে, সবাইকে এক করা আপনার চ্যালেঞ্জ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ধ্বংস হলো ৬ ঘণ্টায়। প্রশাসন নীরব ছিল। এর ভিত্তিতে আপনি বিভাজন করছেন বা তাদের বাদ দিয়ে আপনি ঐক্য কীভাবে করবেন?’ জবাবে তিনি বলেন, তখন অনেক প্রশ্ন ও ইস্যু সব একসঙ্গে এসেছিল এবং তখন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে তারা সব সামাল দিতে পারেননি বলে জানান তিনি।
‘এমন একটা সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। শৃঙ্খলা আনাটাই এখন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ। কারণ, আমরা যে পুলিশ পেয়েছিলাম, কাল যে শিশুদের গুলি করেছে। আজ হঠাৎ করে তারা রাস্তা ফাঁকা করতে বললে, চলে যেতে বললে মানুষ প্রশ্ন করে, ‘আপনি কে?’ তারা আপনাকে (পুলিশকে) পেটাবে। কারণ তুমি আমার ছেলেকে মেরেছ, তুমি আমার ভাইকে মেরেছ, আমার বোনকে মেরেছ। এখন তুমি আমাকে বলছ আমি কী করব?’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন পুলিশ রাস্তায় যেতে ভয় পেয়েছে।
‘আমরা একটা ডেডলক সিচুয়েশনের মধ্যে ছিলাম। আমরা জানতাম না কীভাবে এটাকে সামাল দেব। এখন আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে আসছে। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে,’ বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাক্ষাৎ : যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জনাথন পাওয়েল বুধবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার হোটেলে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক : যুক্তরাজ্যের ব্যবসা ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বোর্ড অব ট্রেডের প্রেসিডেন্ট জনাথন রেনল্ডস বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য জানান।
