Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র

মোসাদের সদর দপ্তরে হামলা

ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে ২১ মুসলিম দেশের নিন্দা * এখনই যুদ্ধবিরতি নয়; খামেনি কোথায় আছে জানি, এই মুহূর্তে হত্যা করব না : ট্রাম্প

Icon

শামীম জোয়ার্দ্দার

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মোসাদের সদর দপ্তরে হামলা

প্রথম রাতের আচমকা হামলা হজম করে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইরান। দিন যাচ্ছে সেই তেজ আরও বাড়ছে। প্রতিবেশী আরব দেশগুলো আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ায় বিমান হামলা না চালাতে পারলেও ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোনেই তছনছ করে দিচ্ছে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো। ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রতিদিনই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে অবৈধ রাষ্ট্রটির কোনো না কোনো এলাকা। মধ্যপ্রাচ্যের ‘বিষফোঁড়া’খ্যাত দেশটির অর্থনৈতিক ও নৌমেরুদণ্ড হাইফা শহর ইতোমধ্যেই লন্ডভন্ড। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি হয়ে ওঠা হাইফার তেল শোধনাগারটি সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। আগের দিন (শনিবার) আয়রন ডোম ভেঙে তেল আবিবের কিরিয়া এলাকার সেনা সদর দপ্তর ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি ভবনে আঘাত হানে। 

মঙ্গলবার আরও বড় ভেলকি দেখাল ইরান। প্রযুক্তি বাহাদুর ইসরাইলের সর্বাধুনিক নিরাপত্তা বলয়ের ভিত নাড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পশ্চিমা মুনিব রাষ্ট্রগুলোকেও। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢাকা বিশ্বসেরা তকমাধারী দেশটির দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদর দপ্তরে হামলা করল। গত পাঁচ দিনে এটাই সবচেয়ে বড় সফলতা ইরানের। শুধু মোসাদ কার্যালয়ই নয়; তেল আবিবের নিকটস্থ হার্জলিয়া শহরে মোসাদের সদর দপ্তরের ঠিক পাশেই ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা সদর দপ্তরেও (আমান) হামলা চালিয়েছে ইরান। এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন। 

দেশটির ইসলামি বিপ্লবী বাহিনী আইআরজিসি দাবি করেছে, মঙ্গলবার ভোরের হামলায় ইসরাইল সামরিক বাহিনীর কড়া বেষ্টনীতে ঘেরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় সফল হামলা চালিয়েছে ইরান। গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অভয়াশ্রম (সদর দপ্তর) ও সামরিক গোয়েন্দা সদর দপ্তর (আমান)। 

পশ্চিমা গণমাধ্যম ফিল্টারিংয়ে ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতির পুরো খতিয়ান চাপা পড়লেও কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসছে ইসরাইলের স্থানীয় গণমাধ্যমে। মঙ্গলবার ওয়াইনেটের এক ব্রেকিংয়ে বলা হয়েছে, তেল আবিবজুড়ে কমপক্ষে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। যার মধ্যে একটি পড়েছে হার্জলিয়ায়। তেল আবিবের কাছাকাছি গিলিলট এলাকায় অবস্থিত সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর রসদ বিভাগের আরেকটি দপ্তরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। তেল আবিবে গুশ দান, রামাত হাশারন, রাআনানা শহরে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। 

বার্তা সংস্থা তাসনিমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে আইআরজিসি। এর আগে, ইসরাইলি প্রতিবেদনগুলোতে হার্জলিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার ঘটনাকে ‘একটি সংবেদনশীল স্থানকে লক্ষ্যবস্তু’ করার কথা বলা হয়েছিল। এ ধরনের বিশেষণ সাধারণত একটি সামরিক বা কৌশলগত লক্ষ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সাংকেতিক ভাষা। এদিন দুপুর থেকেই হামলা জোরদার করে ইরান। তেল আবিবসহ ইসরাইলে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরগুলোতে ভয়াবহ হামলা চালায়। পালটা হিসাবে ইরানের তেহরান ও ইসফাহান প্রদেশে হামলা চালায় ইসরাইল।

শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ইরানে অন্তত ৪৫২ জন নিহত হয়েছেন। ইরানে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস ইন ইরান জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২২৪ জন ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৮৮ জন বেসামরিক ব্যক্তি। আর সামরিক বাহিনীর মধ্যে নিহত হয়েছেন ১০৯ জন। আহত ১২৩ জন। এছাড়াও ১১৯ জন নিহত এবং ৩৩৫ জন আহত ব্যক্তি এখনো শনাক্ত হননি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪৫২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬৪৬ জন আহত হয়েছেন। 

পালটা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলও। মঙ্গলবার রাতে আইডিএফ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন বলেছেন, কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরাইলি বিমানবাহিনীর ৬০টি বিমান ইরানের প্রাণকেন্দ্রে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলাও চালায় ইসরাইল। এতসত্ত্বেও এখনই ইসরাইলে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে ভাবছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার তড়িঘড়ি করে জি-৭ সম্মেলন শেষের আগেই কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তিনি। ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংঘাতের ‘সত্যিকারের অবসান’ চান তিনি। যা অস্ত্রবিরতির চেয়েও কার্যকর। তবে তিনি এটিও স্বীকার করেছেন যে, আলোচনার প্রচেষ্টা পুরোপুরি পরিত্যাগ করাও একটি বিকল্প হতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যাবে ইসরাইল হামলার গতি কমাবে নাকি বাড়াবে। ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাবেন। এখন পর্যন্ত কেউ থামেনি।’ এর ঘণ্টাখানেক পরেই নিজের ট্রুথ সোশ্যালের দ্বিতীয় পোস্টে ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’র স্পষ্ট ধমক দিয়েছেন ট্রাম্প। তার আগের পোস্টে বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবেই জানি কোথায় লুকিয়ে আছেন ইরানের ‘সর্বোচ্চ নেতা’ আয়াতুল্লা খামেনি। তিনি (খামেনি) আমাদের সহজ লক্ষ্যবস্তু। তবে যে জায়গায় আছেন, নিরাপদ আছেন। আমরা তাকে ‘অপসারণ’ (হত্যা!) করব না। অন্তত এখনই নয়। এ সময় পরপর কয়েকটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। আরেক পোস্টে ‘আমরা এখন ইরানের আকাশ পুরোপুরি এবং সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি’ বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এর কিছুক্ষণ পর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তার এক্স পোস্টে বলেন, ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। 

এদিনই সিবিএস নিউজের এক সাংবাদিক দাবি করেছেন, ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বা মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে পাঠানোর কথা ভাবছেন। 

সিবিএস নিউজের এই সাংবাদিক এক্স (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ট্রাম্প আরও বলেছেন, তিনি চান ইরান যেন পুরোপুরি পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করে। তিনি তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক সংকটের সত্যিকারের চূড়ান্ত সমাধান চান। আলজাজিরা।

ইরান-ইসরাইলের চলমান সংঘাতের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ‘হঠাৎ উত্তেজনা বৃদ্ধি’ পাওয়ায় চীন ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। 

চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়োয়েভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, চীন ‘অন্য কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনকারী যে কোনো কর্মকাণ্ডের’ বিরোধিতা করে। বেইজিং থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এদিন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রলয়ের মুখপাত্র গুও ??জিয়াকুন ইসরাইলের ইরান হামলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেন। বলেন, ইরান-ইসরাইলের ‘জ্বলন্ত আগুনে তেল’ ঢালছেন ট্রাম্প। এদিকে ইসরাইলের নিন্দা জানিয়ে সংকট নিরসনে কাতার মধ্যস্থতা করছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি দোহায় একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন-দুদেশের সংঘাত নিয়ে এখন দোহায় আলোচনা চলছে। মিসরের নেতৃত্বাধীন ২১টি মুসলিম দেশের একটি গ্রুপও এদিন ইরানে ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। গ্রুপটি সতর্ক করেছে, সংঘাত আরও বাড়তে পারে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তারা পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিও তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এই অঞ্চলের সব দেশকে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) যোগদানের আহ্বান জানিয়েছে। স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো-আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, চাদ, কোমোরোস, জিবুতি, মিসর, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এদিকে সোমবার রাতে ইরানের নতুন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আলী শাদমানিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। ‘সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য’র ভিত্তিতে তেহরানের কেন্দ্রে একটি কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ইসরাইল। শুক্রবারের হামলায় নিহত সেনপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। পরদিন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন বলেছেন, ‘ইরানিদের এখনো ইসরাইলের অভ্যন্তরে আঘাত হানার সক্ষমতা ও উদ্দেশ্য রয়েছে।’ ডেফ্রিন আরও বলেন, ইরান গত রাতে ইসরাইলের দিকে প্রায় ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। বেশির ভাগই প্রতিহত করা হয়েছে, তবে কয়েকটি স্থানে আঘাত হেনেছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

ইরাকের প্রয়াত সাদ্দাম হোসেনের মতো হতে পারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পরিণতি। মঙ্গলবার নতুন করে এই হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। বলেন, ‘ইরানের প্রতিবেশী এক দেশের স্বৈরশাসক ইসরাইলের বিরুদ্ধে একই পথ বেছে নিয়েছিল, খামেনি তার (সাদ্দাম হোসেন) পরিণতি মনে রাখলেই ভালো করবেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইরানের স্বৈরশাসককে সতর্ক করছি, যেন তিনি যুদ্ধাপরাধ করা এবং ইসরাইলি নাগরিকদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া বন্ধ করেন।’ ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন জোট হামলা চালিয়ে ইরাকের তৎকালীন শাসক সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে। ২০০৬ সালে সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। আলজাজিরা। 

সিনেটে বিল উত্থাপন বার্নি স্যান্ডার্সের : সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের ‘নো ওয়ার অ্যাগেইনস্ট ইরান অ্যাক্ট’ বিলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগের জন্য ফেডারেল তহবিল ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অবশ্য এটি মার্কিন কংগ্রেসে বিশেষভাবে অনুমোদিত হতে হবে। ভারমন্টের প্রতিনিধিত্বকারী স্বতন্ত্র সিনেটর স্যান্ডার্স এক্স হ্যান্ডলে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর বেপরোয়া এবং অবৈধ হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এবং একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করে। কংগ্রেসকে এটি পরিষ্কার করতে হবে যে যুক্তরাষ্ট্রকে নেতানিয়াহুর পছন্দের যুদ্ধে টেনে আনা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠাতা পিতারা যুদ্ধ ও শান্তির ক্ষমতা কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতেই অর্পণ করেছিলেন। এটি অপরিহার্য যে, আমরা পরিষ্কার করে দিই, কংগ্রেসের সুস্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া প্রেসিডেন্টের একক সিদ্ধান্তে আরেকটি ব্যয়বহুল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কোনো ক্ষমতা নেই।’


Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম