গুপ্তহত্যার শঙ্কা
তিন উত্তরসূরি মনোনীত করলেন খামেনি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসরাইলের হত্যার হুমকির মুখে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে তিনজনকে মনোনীত করেছেন। এ পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত তিন ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি সুরক্ষিত বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় খামেনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি ইসরাইলি হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের শূন্যস্থানও পূরণের জন্য নতুন কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরানের ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান ইসরাইলি হামলার মধ্যে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার জীবন এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্ব কাঠামো উভয়কেই রক্ষা করার জন্য ‘একটি অসাধারণ ধারাবাহিক পদক্ষেপ’ নিয়েছেন। তিনি তার মৃত্যুর ক্ষেত্রে সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে তিনজন সিনিয়র ধর্মীয় নেতার নাম জানিয়েছেন। জরুরি যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত তিন ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খামেনি ইলেকট্রনিক যোগাযোগ স্থগিত করেছেন এবং শনাক্তকরণ এড়াতে একজন ‘বিশ্বস্ত সহকারীর’ মাধ্যমে কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলছেন। এতে আরও বলা হয়, সর্বোচ্চ নেতা এখন একটি ‘বাঙ্কারে’ সময় কাটাচ্ছেন। তাকে হত্যা করার জন্য ইসরাইলি হুমকির পরিপ্রেক্ষিতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, খামেনি বিশ্বাস করেন যে, ইসরাইল বা আমেরিকা তাকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে। এ অবস্থায় ইরানের বর্তমান পরিস্থিতির ওপরই জোর দেওয়া হয়েছে। খামেনির পুত্র মোজতবাকে নিয়ে একসময় গুঞ্জন থাকলেও উত্তরসূরিদের মধ্যে তার নাম নেই। বৃহস্পতিবার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করা হবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। তিনি বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হলেন ‘আধুনিক হিটলার’ এবং ‘তিনি আর বেঁচে থাকতে পারবেন না’। এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খামেনিকে হত্যার ইসরাইলি পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছিলেন। ট্রাম্প পরে বলেছিলেন, তারা জানেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় আছেন। তবে আপাতত তারা খামেনিকে হত্যার চেষ্টা চালাবেন না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সামরিক কমান্ডারদের ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি হামলায় ইরানে ৪৩০ জন নিহত এবং ৩,৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
