Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড

ছাত্রলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে নির্যাতন

হোতাসহ গ্রেফতার ৫ * ভিডিও-ছবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ * সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার করব -আসিফ নজরুল

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ছাত্রলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে নির্যাতন

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ, বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ধারণ ও তা সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় চলছে। এলাকাবাসী বলছেন, গ্রামে প্রভাবশালী ফজর আলীর সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক ছিল। তাদের হাতেনাতে ধরতে ওতপেতে ছিলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা মুহাম্মদ আলী সুমন ও তার সহযোগীরা। ফজর আলী ওই নারীর ঘরে ঢুকলে সুমন সহযোগীদের নিয়ে সেখানে যান। নারীকে নির্যাতনের পাশাপাশি ফজর আলীকেও বেধড়ক পেটান। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সুমন রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি বাহেরচর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। 

এ ঘটনায় রোববার বিকাল পর্যন্ত সুমন ও ফজর আলীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগেরদিন ফজর আলীকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী নারী। তবে রোববার সে মামলা আর না চালানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিও ও ছবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

এদিকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনার বিচার করব। এতে আমরা বদ্ধপরিকর। রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

ওই নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। রোববার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জড়িতদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন তিনি। এদিকে এ ঘটনায় বিএনপির নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদ করেছে উপজেলা বিএনপি। রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ করা হয়। এ সংগঠন এবং জামায়াত ও এনসিপি ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচার দাবিতে রাজশাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

নাটের গুরু সুমন : মুরাদগরে রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রাম ঘুরে রোববার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন যুগান্তরের কুমিল্লা ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার আবুল খায়ের ও মুরাদনগর প্রতিনিধি জালাল আহমেদ। তারা জানান, ওই নারীর স্বামী প্রবাসে থাকেন। পরকীয়া ও আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর ঘরে ঢোকেন ফজর আলী। তাকে হাতেনাতে ধরতে আগে থেকেই পাশে লুকিয়ে ছিলেন সুমন ও তার ১০-১২ জন কর্মী-সমর্থক। ফজর আলী ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই দুজনকে আটকে ফেলে সুমনের লোকজন। ফজর আলীকে বেধড়ক পেটানো হয়। আর সেই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং এর ভিডিও ধারণ করা হয়। পরদিন শুক্রবার ওই নারী মুরাদনগর থানায় ফজর আলীর (৪২) বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে ওই নারী মেডিকেল চেকআপ করতে রাজি হননি। রোববার বিকালে মামলা চালাতে তিনি অনীহা প্রকাশ করেন। 

পুলিশ ফজর আলীকে রোববার ভোরে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেফতার করে। বাহেরচর থেকে মুহাম্মদ আলী সুমন, তার সহযোগী রমজান আলী, আরিফ হোসেন ও মো. অনিককে গ্রেফতার করা হয়। পর্নোগ্রাফি আইনে মামলার পর বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এর আগে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খানসহ পুলিশ, পিবিআই ও র‌্যাবের কর্মকর্তারা। কয়েকটি মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠনের কর্মীরাও সেখানে যান। বিকালে ভিকটিমের বাড়িতে যান জামায়াত নেতা ইউসুফ হাকিম সোহেল। একই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হকসহ এনসিপির একটি প্রতিনিধিদলও সেখানে যায়। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের পক্ষে প্রতিনিধিদল ওই বাড়িতে যায়।

রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন ও ইউপি সদস্য আব্দুল করিম বলেন, ফজর আলীর সঙ্গে ওই নারীর পরকীয়া চলছিল। বৃহস্পতিবার ফজর আলী ওই বাড়ির দিকে রওয়ানা করলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে হাতেনাতে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে। আমরা এ ঘটনায় জড়িত সুমনসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। 

গ্রামের জহিরুল ইসলাম বলেন, ফজর আলী লম্পট ও প্রতারক। এলাকায় বালুর ব্যবসা, সুদি কারবারসহ নানা অপকর্ম করে। সে সাবেক এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এবং জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিত। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রব বলেন, ধর্ষক ফজর আলী সুবিধাবাদী লোক। যে ক্ষমতায় থাকে তার সঙ্গে মিলেমিশে এলাকায় অপকর্ম করে। সে এর আগেও একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে। আমরা তার বিচার সালিশ করেছি। 

প্রত্যক্ষদর্শী নারী জাহেরা বেগম বলেন, ফজর আলীর সঙ্গে ওই নারীর চার বছর ধরে পরকীয়া চলছে। ফজর আলীর ভাই শাহপরানও ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, সুমনের নেতৃত্বে একদল বখাটে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসছে। তারা রাতের অন্ধকারে গ্রামের অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে শুধু এসব খুঁজে বেড়ায়। মানুষকে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

ভুক্তভোগী ও পুলিশের বক্তব্য : এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নারী যুগান্তরকে বলেন, ফজর আলীর সঙ্গে আমার টাকা-পয়সার লেনদেন রয়েছে। টাকা-পয়সা নিয়ে মাঝেমধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হতো। সেদিন ফজর আলী আমার ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢোকে। তবে আমি আর মামলা চালাতে চাই না। আমার স্বামী বলেছে মামলা তুলে নিতে। কারও প্রেসারে নয়, শান্তির লক্ষ্যেই আমি মামলা তুলে নিতে চাই। তাছাড়া ফজর আলী এখন মৃত্যুশয্যায়। সে মারা গেলে আমি কার নামে মামলা করব? 

তিনি আরও বলেন, আমাকে নিয়ে ফজর আলী ও তার ছোট ভাই শাহ পরানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। ফজর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে শাহ পরান আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়েছিল। শাহ পরান ও অন্যরা ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে মারধর করেছে। এখন আমি এ ধরনের ঝামেলা চাই না। তাদের পরিবারের সঙ্গে আমাদের পূর্বের সম্পর্ক রয়েছে। তাই মামলা করে নিজেদের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি করতে চাই না। আমি এলাকায় শান্তি চাই। যারা আমাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করেছে তারা চরম অন্যায় করেছে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ আলী সুমনও রয়েছে। আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় এবং স্থানীয়ভাবে কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করেছি। সুমনের নেতৃত্বে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণ করা হয়। এ ঘটনায় সুমনসহ চারজনকে এজাহারনামীয় এবং মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়েছে। আমরা ঘটনার নেপথ্যের কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। স্থানীয়রা বলছে পরকীয়া কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আরও অনেক তদন্ত করা দরকার। তদন্তের পরই সব কিছু বেরিয়ে আসবে। 

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, যেহেতু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে আমরা সে বিষয়টি সামনে রেখেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে পরকীয়া ছিল কিনা সেটা বিবেচ্য নয়। আমরা মামলার এজাহার অনুসারে তদন্ত করছি। ভিকটিমের সঙ্গে কি ধরনের আচরণ করা হয়েছে তা পরীক্ষা এবং তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়রা কি বলছে সেটা এ মুহূর্তে আমাদের আমলে নেওয়ার বিষয় নয়। আমরা মামলার অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছি। একপর্যায়ে আমরা প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের বক্তব্যও নেব। 

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, আমরা ধর্ষক ফজর আলীসহ ভিকটিমকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায় যারাই জড়িত রয়েছে প্রত্যেককে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা টিম এবং তদন্ত টিম মাঠে কাজ করছে। এমন পৈশাচিক ঘটনায় যারাই জড়িত রয়েছে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

প্রসঙ্গত, প্রথম দিনে ভুক্তভোগী যে মামলা করেছিলেন, সেখানে একমাত্র আসামি ছিলেন ফজর আলী। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেখানে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের প্রসঙ্গ ছিল না। তবে এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। 

ভিডিও ও ছবি অপসারণের নির্দেশ : ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজিপিকে নির্দেশ দেন। রোববার এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর আদালত রুলও জারি করেন। ভুক্তভোগীর নাম-পরিচয়, গোপনীয়তা, ভিডিও ও ছবি প্রচার-প্রকাশ করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, কুমিল্লার পুলিশ সুপার, তথ্য সচিব, বিটিআরসি এবং কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার : আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ওই ঘটনায় সাধারণ নাগরিকদের মতো আমরাও মর্মাহত। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধান আসামিসহ যারা ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে, সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ধর্ষণসংক্রান্ত আইনের সংশোধন করেছি। দ্রুততম সময়ে আপনারা মাগুরার ঘটনার বিচার দেখেছেন। মুরাদনগরের ঘটনাও আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার করব। 

কঠোর শাস্তি চাইলেন জামায়াত আমির : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান রোববার ফেসবুক পোস্টে লেখেন ‘মুরাদনগরে একজন নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন একান্তই লজ্জাজনক একটি ঘটনা। লম্পটদের যে কোনো মূল্যে পাকড়াও করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং কঠোর শাস্তি দিতে হবে। খুঁটির জোর যাই হোক, তাকে কোনোভাবেই পাত্তা দেওয়া যাবে না। অন্যথায়, এই সমাজ আপাদমস্তক একটি জংলি সমাজে পরিণত হয়ে যাবে।’ 

রাজশাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ : রাবি প্রতিনিধি জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ক্রিয়াশীল বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা চত্বর থেকে মিছিলটি বের করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে হয়। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল। বক্তৃতা করেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কাউছার আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক তারেক আশরাফ।

জবি প্রতিনিধি জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরামের ব্যানারে দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে ভাস্কর্য চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আলম মারুফ, ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী সামিরা মৌ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব সমাবেশে প্রমুখ বক্তৃতা করেন।


Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম