Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

জুলাই শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাই ঐক্য বজায় রাখুন

সংখ্যানুপাতিক ভোট ঐক্যে বিভক্তি ও সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে -তারেক রহমান * জুলাই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে * জামায়াত-এনসিপিসহ ৪৫ রাজনৈতিক দলের নেতাদের অংশগ্রহণ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাই ঐক্য বজায় রাখুন

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘ঐক্য বজায় রাখা’র আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, যেকোন মূল্যে বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন সবাই মিলে শহীদ জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি, বাস্তবায়িত করি কোটি মানুষের নতুন বাংলাদেশের নির্মাণের স্বপ্ন। 

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির বিশেষ অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনি ব্যবস্থা দেশের ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তিমূলক সমাজ এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণ হয়ে উঠতে পারে কিনা তা গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখার জন্য সব রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধ জানান। 

ভিডিওবার্তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের সামনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার, তা আমাদের দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খালেদা জিয়া শুরুতে বলেন, রক্তস্নাত জুলাই-আগস্ট এক বছর পর আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন, গ্রেফতার হত্যা, খুন, গণতন্ত্র ধ্বংস এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার। আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। গুম-খুন-বিচারবর্হিভূত হত্যা শিকার যারা হয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের সম্মান এবং তাদের পুনর্বাসন এবং তাদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে। এসব অপরাধে জড়িতদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। 

বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের সম্মানে এই বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ৪৫টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মীর মুগ্ধ, শহীদ ওয়াসিম, বিশ্বজিৎসহ গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা। প্রত্যেকটি পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানানো হয়। বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ৩৬ দিনের কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে পালন করবে বিএনপি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চিন্তাভাবনা করেই প্রস্তাব দিয়েছেন। দেশ এবং জনগণের কল্যাণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই যার যার বিবেচনায় উত্তম প্রস্তাবটিই উপস্থাপন করেছেন। তবে সব প্রস্তাব বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বা বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের জন্য উপযোগী কিনা সেটি বিবেচনার জন্য বিনীত আহ্বান জানাব। 

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনি ব্যবস্থার দাবি প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনি ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন। বিশ্বের কোনো কোনো দেশে সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থার বিধান রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় এবং ভৌগোলিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে ব্যবস্থাটি কতটুকু উপযোগী অথবা উপযোগী কিনা সেটি গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রাখব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখতে হলে এবং দেশকে তাঁবেদারমুক্ত রাখতে হলে এই মুহূর্তে জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনি ব্যবস্থা দেশের ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তিমূলক সমাজ এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণ হয়ে উঠতে পারে কিনা তা গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখার জন্য তিনি সব রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধ জানান। 

শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনি ব্যবস্থার আড়ালে পুনরায় দেশের রাজনীতিতে নিজেদের অজান্তেই পতিত পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্ট অপশক্তির পুনর্বাসনের পথ সুগম করে দেওয়া হচ্ছে কিনা- এ বিষয়টিও প্রত্যেকের অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে ভাবা দরকার। আমি মনে করি, নিত্যনতুন ইস্যু যদি আমরা সামনে নিয়ে আসতে থাকি তবে ষড়যন্ত্রকারীরা আবারও মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পাবে। 

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে জনগণের প্রতিদিনের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, জনগণের সমস্যার কথা তাদের কাছে পৌঁছানোরও তেমন কোনো মাধ্যম নেই, রাজনৈতিক দলগুলোর যেমন থাকে। সুতরাং সংস্কারের ইস্যু নিয়ে আমরা যদি অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যস্ত রাখি, তাহলে হয়তো সেটি জনগণকে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখতে পারে। তিনি বলেন, যেসব বীর সন্তানেরা বাংলাদেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, যেসব মানুষ চোখ হারিয়ে চিরদিনের মতো অন্ধ হয়ে গেছেন, হাত-পা অঙ্গ প্রতঙ্গ হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, মাসের পর মাস বাধ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের এই আত্মত্যাগকে বিবেচনায় নিয়ে আসুন আমরা যে যার ইচ্ছে মতো শর্তের তালিকা না বাড়িয়ে শহীদদের চেতনায় বাংলাদেশকে উপলব্ধি করি। চোখ হারানো যোদ্ধার অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশকে দেখার চেষ্টা করি। চিকিৎসাধীন এবং আহতদের আর্তনাতের সঙ্গে একাত্ম হয়ে শহীদদের আকাঙ্ক্ষার আলোয় বাংলাদেশকে গড়ে তুলি। তিনি বলেন, প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা নয়; শহীদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য শুরু হোক আলোর প্রতিযোগিতা, শুরু হোক ভালোর প্রতিযোগিতা। ফ্যাসিবাদের অন্ধকার থেকে মুক্ত হয়ে গণতন্ত্রের আলোয় ফিরে আসুক বাংলাদেশ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন মানুষ ভোলেনি তেমনি চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিভিন্ন স্থাপনা শহীদদের নামে নামকরণের চিন্তা আমাদের আছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের জন্য কিছু ভাবনা ইতোমধ্যে তুলে ধরেছি। আমরা দেশকে একটি চিরস্থায়ী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চাই, যেখানে জনগণের হাতে থাকবে সব ক্ষমতা। তবেই রাজনৈতিক দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন কমে আসবে বলে বিশ্বাস করি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন অত্যন্ত সুচতুরভাবে একটি প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে, বিএনপি নাকি সংস্কার মানছে না, এজন্য সংস্কার হচ্ছে না। মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন হচ্ছে, বিএনপি সংস্কার মানছে না। তাদের অত্যন্ত আন্তরিকভাবে বলতে চাই, দয়া করে আমাদের দফাগুলো একটু ভালো করে দেখুন। ৩১ দফায় কী ছিল, আমাদের টিম ঐকমত্য কমিশনের কাছে গিয়ে কী বলছে, মতামত দিচ্ছে। এটা জানা দরকার, না হলে ভুল বোঝাবুঝি হবে।

অনেক ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী ১০ বছর থাকার ব্যাপারে একমত হয়েছি, বলেছি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হবে। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন করা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও সংস্কার আনার কথাও বলেছি। সেই বিষয়গুলোকে সেভাবে বিচার করুন, ব্যাখা করুন। শুধুমাত্র যেহেতু বিএনপি বড় দল, সেহেতু শুধুমাত্র বিএনপিকেই দোষারোপ করে কথা বললে সেটা সংস্কারের জন্যে সহায়ক হবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমাদের সামনে উদ্দেশ্য হবে নতুন বাংলাদেশ। সবার আগে বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে বড় নীতি। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য একটি প্ল্যাটফর্মে হবে, যেটা গঠিত হয়েছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের মাধ্যমে। এটাই সেই প্ল্যাটফর্ম। এই জাতীয় ঐক্যটা হবে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য। একে ধরে রাখতে হবে, সমুন্নত রাখতে হবে। এটাই হবে আমাদের জন্য শক্তি।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্রে আলোচনা থাকবে, সমালোচনা থাকবে, আবার ভিন্নমতও থাকবে। একে অন্যকে আমরা কঠোর সমালোচনাও করব। এটা গণতন্ত্রের অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য। এটা যেমন গণতন্ত্রের একটা বৈশিষ্ট্য, একইভাবে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র এবং সামাজিক গণতন্ত্র সুসংহত ও শক্তিশালী হয় পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে। আমাদের কণ্ঠের স্বাধীনতা এবং রাজনীতি করার স্বাধীনতার পাশাপাশি আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতাও থাকবে। এটা থাকতেই হবে। তা না হলে রাষ্ট্র থাকবে না, সমাজ থাকবে না। আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে, আবার অনেক আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ হয়তো আমাদের কাছ থেকে ঝরে যাবে।

অনুষ্ঠানে জামায়াত-এনসিপিসহ ৪৫ রাজনৈতিক দল, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার : অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামী-এনসিপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী ৪৫টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আন্দোলনে বিএনপির অনেক অবদান। জামায়াতে ইসলামীরও অবদান রয়েছে। অবদান রাখা সব দলের নেতারা এখানে আছেন। কর্মীরা জেল খেটেছেন এবং গুমের শিকার হয়েছেন। গুমের শিকার হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ফ্যাসিস্টের বিদায় হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত হয়নি। আমরা সবসময় জাতীয় স্বার্থে বিশ্বাসী। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা ২০ দলীয় জোট আন্দোলন করেছিলাম। ভবিষ্যতে জাতীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে এবং ফ্যাসিবাদী শক্তি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেকোনো ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে থাকব। সবার জন্য বাংলাদেশ। সব দল মিলে দেশকে এগিয়ে নেব। 

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি বলেন, যারা নতুন ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা সবাই অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় থাকব। হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জোনায়েদ আল হাবিব বলেন, এখন ঐক্যে যারা ফাটল ধরাবেন তারা ফ্যাসিবাদের দালাল, জনগণের শত্রু। সামনে ভোট হবে, নির্বাচন হবে। কিন্তু জয়বাংলা স্লোগান থাকবে না। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করেছে। কিন্তু বর্তমান সরকার দশ মাসেরও জাতীয় নির্বাচন দিতে পারেননি, যা দুঃখজনক। নতুন কোনো অজুহাত না দিয়ে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন এই বক্তব্যটা শুনতে চাই। বিচার দৃশ্যমান। সংস্কারের দড়ি বেশি টানাটানি করবেন কেন? জুলাই মাসেই সনদ স্বাক্ষর করতে হবে। কয়েকটি দল স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাচ্ছেন। তাদের ভিন্ন মতলব আছে। ১৬ বছর এজন্য লড়াই করিনি। লড়াই করেছি ভোটাধিকার, জাতীয় নির্বাচনের জন্য। 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমি, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান প্রমুখ। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নাহরীন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, এম এ মালিক, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মীর সরফত আলী সপু, নজরুল ইসলাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, মিফতাহ সিদ্দিকী, নিলোফার চৌধুরী মনি, মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, মাহাদী আমিন, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ। পেশাজীবী ও বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, সংগ্রাম সম্পাদক আযম মীর শাহীদুল আহসান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান সাংবাদিক আনোয়ার আলদীন, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ড. আব্দুল হাই সিদ্দিকী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, প্রকৌশলী মো. মোস্তফা-ই জামান সেলিম (সিআইপি), প্রকৌশলী একেএম আমিরুল মোমিন বাবলু প্রমুখ।


Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম