Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

তানভীরের পাঁচে বাংলাদেশের প্রথম প্রেমাদাসা-জয়

Icon

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

তানভীরের পাঁচে বাংলাদেশের প্রথম প্রেমাদাসা-জয়

প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র পাঁচ রানে সাত উইকেট হারিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। গত বুধবার প্রথম ওডিআইতে ৭৭ রানে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি। শনিবার একই ভেন্যু কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিবা-রাত্রির ম্যাচে বাংলাদেশ ১৬ রানে শ্রীলংকাকে হারিয়েছে। তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১। মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশের জয়ের মূলে রয়েছেন তিনজন। ওপেনার পারভেজ হোসেন (৬৭) ও তাওহিদ হৃদয়ের (৫১) হাফ সেঞ্চুরির পর ২৮ বছর বয়সি বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম নিজের দ্বিতীয় ওডিআইতে ৩৯ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেন। শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো বোলারের এটাই সেরা বোলিং। ম্যাচসেরা তানভীরই। তার স্পিন জাদুতে বাংলাদেশ প্রেমাদাসায় প্রথম ওডিআই জিতল।

শেষ ১৮ বলে শ্রীলংকার দরকার ছিল ২৭ রান। হাতে দুই উইকেট। নিজের বলে আসিতা ফার্নান্ডোর ফিরতি ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হওয়ার পর তানজিম হাসান পরের বলে চামিরাকে বোল্ড করে শ্রীলংকাকে গুটিয়ে দেন ২৩২ রানে। শেষ উইকেটে ৩০ রানের জুটি ভাঙে। বিফলে যায় কুশাল মেন্ডিস (৫৬) ও জানিস লিয়ানাগের (৭৮) হাফ সেঞ্চুরি। তানজিম নেন দুই উইকেট। 

এর আগে তৃতীয় ওভারে তানজিদ হাসানের আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে ৬১ বলে ৬২ রান করা বাংলাদেশ ওপেনার ১১ বলে সাত রান করে আউট হন। শ্রীলংকা শুরুতেই উইকেট পেয়ে যায়। এই ম্যাচের আগে টি ২০ দল থেকে বাদ পড়া নাজমুল হোসেন শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৯ বলে ১৪ রান করা নাজমুলকে তুলে নেন আসালাঙ্কা। প্রথম ওয়ানডেতে নাজমুল করেছিলেন ২৩ রান। নাজমুলের প্রস্থানে ওপেনার পারভেজ হোসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তার ৬৩ রানের জুটি ভাঙে। ২০তম ওভারে ফেরেন ইনিংসের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন। প্রথম ওয়ানডেতে ১৬ বলে ১৩ রান করা পারভেজ এবার ৬৯ বলে ৬৭ রান করে বোল্ড হন লেগ-স্পিনার হাসারাঙ্গার বলে। বাংলাদেশ তখন ১১০/৩। বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ এই ম্যাচেও ব্যর্থ। প্রথম ওডিআইতে দুই বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। কাল আউট হন ১০ বলে নয় রান করে। লিটন দাসের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া শামীম হোসেন (২৩ বলে ২২) ফাইন লেগে ধরা পড়েন আসিতা ফার্নান্ডোর বলে।

প্রথম ওয়ানডের হাফ সেঞ্চুরিয়ান (৫১) জাকের আলী ৪০ বলে ২৪ রান করে লেগ বিফোর হন। সিদ্ধান্ত দেন থার্ড আম্পায়ার। ইনিংসের দ্বিতীয় ফিফটি করেই তাওহিদ হৃদয়ের রানআউট হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। তানজিম হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হৃদয়ের আউট হওয়ার কারণ। আসিতা ফার্নান্ডোর বল ডিপ মিড-উইকেটে পাঠিয়ে এক রান নেওয়ার পর দ্বিতীয়টির জন্য দৌড়ান হৃদয়। তানজিম তাতে সাড়া দিয়েও সঙ্গীকে নিষেধ করেন দ্বিতীয় রান নিতে। ততক্ষণে হৃদয় উইকেটের প্রায় মাঝে চলে গেছেন। নিশান মাদুশঙ্কার থ্রো’য়ে নন স্ট্রাইকার এন্ডে বেল ফেলে দেন আসিতা। হৃদয় রাগে-হতাশায় ছুড়ে ফেলেন ব্যাট। ৫১ রানে থামতে হয় তাকে। ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন তানজিম। লংকান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল আসিতা ফার্নান্ডো চার এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা তিন উইকেট নেন।

(স্কোর কার্ড খেলার পাতায়)


Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম