Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

রাজসাক্ষী প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর

মামুন ক্ষমা পাবেন কি না সিদ্ধান্ত বিচার শেষে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মামুন ক্ষমা পাবেন কি না সিদ্ধান্ত বিচার শেষে

রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ক্ষমা পাবেন কি না-সেটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে ট্রাইব্যুনালের বিচারের শেষে। আবদুল্লাহ আল-মামুন ও অন্যদের সাক্ষ্য বিবেচনা করে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি বিচার শেষে ক্ষমাও পেতে পারেন, আবার অল্প সাজা অথবা পূর্ণাঙ্গ সাজা পেতে পারেন। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শনিবার যুগান্তরকে এসব তথ্য জানান।  

রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে শর্তসাপেক্ষে ট্রাইব্যুনাল ক্ষমা করে দিয়েছেন মর্মে শনিবার দুপুর থেকে দুই পৃষ্ঠার একটি আদেশের কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অ্যাপ্রুভার (দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্য বিবরণ প্রকাশ করেন যিনি) হওয়ার আবেদন করেন। সাময়িকভাবে তা মঞ্জুর করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচার শেষে আদালত তাকে ক্ষমাও করতে পারেন, আবার অল্প সাজা অথবা ফুল সাজা দিতে পারেন।’ 

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যারা ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে ছড়াচ্ছে সেটা বিভ্রান্তিকর খবর। তিনি (সাবেক আইজিপি) অপরাধী সেটা ট্রাইব্যুনালে স্বীকার করেছেন ও সাক্ষ্য দিতে চেয়েছেন। আদালত প্রাথমিকভাবে তার বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আদালতে তার সাক্ষ্যপ্রমাণ নেওয়ার পর। তিনি (সাবেক আইজিপি) ও অন্য সাক্ষীরা যা বলবেন, তা সবকিছু বিবেচনা করা হবে। এরপর আদালত ফাইনাল সিদ্ধান্ত দেবেন।’ প্রসঙ্গত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গত বৃহস্পতিবার অ্যাপ্রুভার (দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্য বিবরণ প্রকাশ করেন যে আসামি, সাধারণত তিনি রাজসাক্ষী হিসাবে পরিচিত) হওয়ার আবেদন করেন। পরে তা মঞ্জুর করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মামলায় একজন আসামি ‘অ্যাপ্রুভার’ হলেন। ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৫ ধারায় অ্যাপ্রুভারের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এই ধারার শিরোনাম হলো-‘পারডন অব এন অ্যাপ্রুভার (দোষ স্বীকারকারী সাক্ষীর ক্ষমা)।’ 

সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পেতে পারেন মামুন : এদিকে লিখিত আদেশে বলা হয়, শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ), ৩(২)(জি), ৩(২)(এইচ), ৪(১), ৪(২), ৪(৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ও বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। অভিযোগ গঠনের পর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তিনি দোষ স্বীকার করবেন কি না। মামুন দোষ স্বীকার করেন ও বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট অপরাধসমূহ ও অপরাধ সংঘটনে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তির সম্পর্কে তার জানা সব তথ্য প্রকাশ করতে ইচ্ছুক।

আদেশে বলা হয়, অভিযুক্তের আইনজীবী একটি আবেদন দাখিলের মাধ্যমে তাকে ক্ষমা করার জন্য অনুরোধ করেন। চিফ প্রসিকিউটর অভিযুক্তকে ক্ষমা করার প্রস্তাবে সম্মত হন এই শর্তে যে, তিনি সঠিক তথ্য পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ করবেন। কারণ এই ধরনের প্রকাশ অপরাধের বিচারের জন্য সহায়ক হবে। অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ক্ষমা করা হবে, যদি তিনি অপরাধের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তি সম্পর্কে তার জানা সব তথ্য সত্যভাবে প্রকাশ করেন। মামুন শর্তগুলো মেনে নিয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল তাকে সুবিধাজনক সময়ে সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবেন।


Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম