Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

দেশের স্বার্থই ছিল তার কাছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে

Icon

সালমা ইসলাম

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দেশের স্বার্থই ছিল তার কাছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে

করোনা আমার স্বামীকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে-দেখতে দেখতে পাঁচটি বছর চলে গেল। তিনি (বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম) নেই, এটি কখনোই ভাবতে পারি না। জগতের নিয়মে তিনি আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে গেলেও যমুনা পরিবার ও দেশবাসীর মন তিনি এমনভাবে জয় করেছেন যে, আমাদের সবার ভাবনায় তিনি সব সময় বেঁচে আছেন। স্বামীকে হারিয়ে তীব্র শোকে আমি দিশেহারা হয়েছিলাম। তার স্মৃতি আমাদের অনন্ত প্রেরণার উৎস। সব সময় মনে হয়, তিনি আমাদের পাশে আছেন, সঙ্গেই আছেন। তার সঙ্গে আমার এত স্মৃতি-কোনটি আগে বলব, ভেবে পাচ্ছি না।

বিয়ের পর লক্ষ্য করলাম, আমার স্বামী সব সময় নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। তার ব্যস্ততা দেখে কখনোই তার কাছে কিছু চাইতাম না। কিন্তু তিনি বুঝতেন, আমার এবং আমাদের পরিবারের অন্যদের কার কী দরকার। একপর্যায়ে যখন তিনি আমাকে যুগান্তরের প্রকাশকের দায়িত্ব দিলেন, তখন আবারও আমার কাছে স্পষ্ট হলো, তিনি দেশকে নিয়ে কতটা ভাবেন এবং পরিবারের সদস্যদের কোন পর্যায়ে দেখতে চান।

আমার স্বামীর একটা বড় গুণ ছিল, তিনি যখনই জানতে পেরেছেন-কেউ টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না, টাকার অভাবে কারও লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে, কোনো ঋণগ্রস্ত বাবা টাকার অভাবে মেয়ের বিয়ের সব খরচ বহন করতে পারছেন না-এসব সমস্যা তিনি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করতেন। এসব সমস্যার সমাধানকে তিনি দায়িত্ব মনে করতেন।

তিনি ব্যস্ত থাকলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। আমাদের সৌভাগ্য-আমাদের সন্তানরা ছোটবেলা থেকেই দায়িত্বশীল আচরণ করছে। আমাদের এক ছেলে, তিন মেয়ে-সবাই বিশ্বের নামিদামি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা শেষে দেশে ফিরে এসেছে। শিক্ষা জীবনে তারা ভালো ফলাফল অর্জন করায় বিদেশে আকর্ষণীয় চাকরির সুযোগ পেলেও তা গ্রহণ করেনি। বরং তাদের বাবার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারাও বলছে-বিদেশে নয়, দেশের সেবায় আমরা আত্মনিয়োগ করতে চাই। পরবর্তীতে সন্তানদের সাফল্য এবং দেশের প্রতি তাদের অঙ্গীকার-এসব দেখে আমার স্বামী গর্ববোধ করতেন।

মনে পড়ে, করোনার সময় ঘরে বসেই অফিসের খোঁজখবর নিতে হতো। তখন করোনার কোনো ওষুধের (যা করোনা প্রতিরোধে কাজ করে) নাম শুনলে তিনি তা সংগ্রহ করে ঘরের সবাইকে খেতে বলতেন। তিনি ছিলেন মিতব্যয়ী। সঞ্চিত অর্থ দিয়ে সব সময় নতুন নতুন প্রকল্প শুরু করেছেন, যাতে নতুন কর্মসংস্থান হয়। সন্তানদেরও তিনি মিতব্যয়ী হতে উৎসাহ দিতেন। জীবনে তিনি কোনোদিন অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। তিনি সত্য প্রকাশে ছিলেন অবিচল। তিনি যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা করে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। এ দুই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তাকে অনেক বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এমনকি জেল-জুলুম ব্যবসায়িক চরম ক্ষতিও তিনি হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। কিন্তু কারও সঙ্গে আপস করেননি। এসব বাধা অতিক্রমের ক্ষেত্রে তিনি সব সময় দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন।

২.

যেসব উদ্যোক্তা দেশের রপ্তানি খাতকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা আমার স্বামী তাদের অন্যতম। তিনি ছিলেন স্পষ্টভাষী। তার এ গুণের কারণে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীরা তাকে বিশেষভাবে পছন্দ করতেন। তিনি সব সময় ভাবতেন, কী করে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যবসা-বাণিজ্য-এসব নিয়ে তিনি এত ব্যস্ত থাকতেন যে, আত্মীয়স্বজনের কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় পেতেন না। সেসব অনুষ্ঠানে আমাকে এবং আমাদের পরিবারের অন্যদের যেতে বলতেন। অলসতা তাকে কখনোই স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি কথা বলতেন কম, কাজ করতেন বেশি। তার পরিশ্রম, কর্মোদ্যম-এসব দেখে আমরা অবাক হতাম। তার কর্মতৎপরতা আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের পরিশ্রমী হতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

আমার স্বামী যখন শুনলেন, টাকা পাচারের কারণে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তখন তিনি অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলতেন, ঋণখেলাপি হলে এবং টাকা পাচার করলে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে। এ কারণে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য নতুন কিছু করতে তিনি সব সময় ব্যস্ত থাকতেন।

আমার স্বামী ব্যবসাকে সেবা হিসাবে দেখতেন। যে ব্যবসা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে, তিনি তেমন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হতে বেশি পছন্দ করতেন। তিনি বলতেন, অতিরিক্ত আমদানিনির্ভরতা দেশের অর্থনীতিতে নানা ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তিনি আরও বলতেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে যত দ্রুত সম্ভব আমদানিনির্ভরতা কাটিয়ে ওঠা দরকার। তিনি কথার চেয়ে কাজকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। এ কারণেই তার পক্ষে একের পর এক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। নিরন্তর পরিশ্রম করে তিনি সাফল্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের স্বার্থকে তিনি সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচনা করতেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, তার (নুরুল ইসলাম) সব স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করার আগেই করোনা তাকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিল। তাই সবার উদ্দেশে বলব, নুরুল ইসলামের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে আসুন সবাই তার মতোই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করি; পরের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিই।

৩.

যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা কত দূরদর্শী ছিলেন, তার একটি নিদর্শন যমুনা ফিউচার পার্ক। এক ছাতার নিচে সবকিছু নিয়ে এলে উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ভোক্তারা উপকৃত হন। এই দৃষ্টান্ত অন্য খাতেও কাজে লাগানো যেতে পারে। যমুনা ফিউচার পার্ক দেশে-বিদেশে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে। তার প্রতিষ্ঠিত হবিগঞ্জের শিল্পপার্কটিও ইতোমধ্যে দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে তিনি একটার পর একটা নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মতো কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতেন। সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নতমানের হাসপাতাল করার স্বপ্নও ছিল তার। আমাদের দুর্ভাগ্য, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগেই করোনা তাকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে।

কাজের মধ্যে ডুবে থেকে তিনি আনন্দ খুঁজে পেতেন। তার সবকিছু ছিল অত্যন্ত গোছাল। যখন যে কাজটা করতেন, তা শতভাগ মনোযোগ দিয়েই করতেন। তার সময়জ্ঞান ছিল প্রবাদতুল্য। তিনি কোথাও কোনো মিটিংয়ে কিংবা কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্টে গেলে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১৫ মিনিট আগে উপস্থিত হতেন। রাস্তার যানজট হিসাব করে সেভাবেই বের হতেন। তিনি সবার আগে অফিসে আসতেন এবং অফিস ত্যাগ করতেন সবার পরে। হয়তো মাঝেমধ্যে বিশেষ কারণে ব্যতিক্রম হতো। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ভোরে তিনি সড়কপথে ছুটে যেতেন যমুনা গ্রুপের কোনো না কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। পণ্যের গুণগত মানেও সারা জীবন এক নম্বর থাকতে চেয়েছেন তিনি।

ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ব্যস্ত সময় পার করলেও পরিবারের প্রতিটি কাজকেই তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন। তার একটি বিশেষ গুণ ছিল, অফিসের কোনো বিষয় তিনি বাসায় আনতেন না। খাবার টেবিলে পরিবারের সবার সঙ্গে পিকনিক মুডে কথাবার্তা বলতেন। সেই পরিবেশ হয়তো আর কোনো দিন সেভাবে ফিরে আসবে না। এছাড়া আমাদের সন্তানদের তিনি শুধু উচ্চশিক্ষিতই করেননি, আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে সব চেষ্টা করেছেন। তার নির্দেশিত পথেই যমুনা গ্রুপের সবকটি প্রতিষ্ঠান চলছে। আমরা এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার স্বামী মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য যেভাবে সব সময় চিন্তা করতেন, এখন আমরাও একই রকম চিন্তা করছি। নুরুল ইসলামের মতো এমন একজন কীর্তিমান মানুষকে স্বামী হিসাবে পেয়ে আমি গর্বিত, আমি ধন্য। স্বস্তির বিষয় হলো-যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা তার প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যেভাবে চলতে বলেছেন, সবাই তার দিকনির্দেশনা মতোই চলছেন।

৪.

যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের সুনাম এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এজন্য আমরা গর্বিত। যমুনা গ্রুপের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে যুগান্তর ও যমুনা টিভির প্রতি ছিল তার বিশেষ দৃষ্টি। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি যুগান্তর ও যমুনা টিভির খোঁজ নিতে ভুলতেন না। এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বমানের শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন থেকেই লড়াই করে গেছেন তিনি। এ প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মীদের সাহস ও অনুপ্রেরণার এক বড় উৎস ছিলেন নুরুল ইসলাম। তিনি সব সময় অভয় দিয়ে বলতেন, ‘সত্য প্রকাশে কখনো পিছপা হওয়া যাবে না; যত বাধা আসুক, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতেই হবে।’ তিনি বলতেন, ‘আমি মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেছি অন্যায়-দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে; সমাজের মুখোশধারীদের মুখোশ খুলে দিতে।’ তিনি আরও বলতেন, ‘যুগান্তর ও যমুনা টিভি হবে সমাজে অন্যায়-জুলুমের শিকার মানুষের মুখপত্র।’

অনেকে প্রশ্ন করেন, গত বছর জুলাই বিপ্লবের সময় যুগান্তর এবং যমুনা টেলিভিশন যে সাহসী ভূমিকা পালন করতে পেরেছে, এর মূল রহস্য কী? প্রকৃতপক্ষে জুলাই বিপ্লবের সময় এই দুই প্রতিষ্ঠানের এমন সাহসী ভূমিকা পালনের নেপথ্যে কাজ করেছে আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সাহসের অনুপ্রেরণা। তিনি সব সময় বলতেন, মানুষের তথ্য চাহিদা পূরণ করতে সত্য প্রকাশে অবিচল থাকতে হবে। এজন্য তার নির্দেশনায় অনুপ্রাণিত হয়ে যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিকরা সব সময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে অবিচল। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের জুলাই বিপ্লবের সময়ও এ দুই প্রতিষ্ঠান সাহসী ভূমিকা পালন করে মানুষের মন জয় করেছে। যুগান্তর এবং যমুনা টেলিভিশনের এ সাহসী ভূমিকা অব্যাহত থাকুক-মানুষ এটাই দেখতে চায়। আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়, এ দুই প্রতিষ্ঠানের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ধারা অব্যাহত থাকবে।

৫.

পারস্যের সুফি কবি, পণ্ডিত মওলানা জালালুদ্দিন রুমি তার ‘যখন আমি মারা যাব’ শিরোনামের কবিতায় বলেছেন-‘যখন আমি মারা যাব/যখন আমার কফিন/বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে/তুমি কখনো ভাববে না/আমি এই পৃথিবীকে মিস করছি/ ... চোখের জল ফেলো না/শোক করো না অথবা/অনুতপ্ত হয়ো না/আমি কোনো বিশাল গহ্বরে পড়ছি না।’ এ কবিতায় কবি রুমি আরও বলেছেন, ‘যখন তুমি আমাকে/কবরে রেখে যাবে/বিদায় বলো না ... ।’

আমার স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শোনার পর মওলানা জালালুদ্দিন রুমির এ ধরনের কবিতাসহ আরও বেশকিছু লেখার কথা বিশেষভাবে মনে পড়েছিল। আমি তখন সেসব লেখার মর্ম স্মরণ করে কিছুটা সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা করি। কিন্তু তখন আমার স্বামীর স্মৃতিগুলো আরও উজ্জ্বল হয়ে আমার সামনে হাজির হয়েছিল। সেই উজ্জ্বল স্মৃতিগুলো এখনো আমার চলার পথে সাহস জোগায়।

৬.

নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনের সম্মুখসমরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি জীবনযুদ্ধেও সব সময় ছিলেন একজন অকুতোভয় সৈনিক। দেশের স্বার্থকে তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচনা করতেন। কঠিন বিপদের মধ্যেও তিনি এতটুকু ধৈর্য হারাতেন না। দীর্ঘ পথচলায় গ্রুপের ওপর যতবার বড় কোনো বিপদ কিংবা সংকট এসেছে, তিনি দক্ষ অধিনায়কের মতো নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোনো বিপর্যয় ঘটলে তাকে সান্ত্বনা দিতে হতো না। বরং উলটো তিনি আমাদের বোঝাতেন। বলতেন, চিন্তা করো না, আবার নতুন করে হবে, হয়তো এর চেয়ে আরও ভালো হবে।

আজ তার চলে যাওয়ার পাঁচ বছর পূর্তির দিনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আমাদের চাওয়া-আল্লাহ যেন নুরুল ইসলামকে জান্নাত নসিব করেন। আমিন। আমরা যারা বেঁচে আছি, সবাই যেন নুরুল ইসলাম সাহেবের সব ভালো গুণ ধরে রাখতে পারি, আমাদের সে চেষ্টা করা উচিত।

অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম : চেয়ারম্যান, যমুনা গ্রুপ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম