সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় চালু হচ্ছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের মিশন চালু হতে যাচ্ছে। তিন বছর মেয়াদি মিশন চালুর জন্য সমঝোতা স্মারক সই করেছে দুই পক্ষ। পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম বাংলাদেশের এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক জাতিসংঘের পক্ষে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছেন। জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিকাশের লক্ষ্যে মিশন চালুর বিষয়ে চলতি সপ্তাহে সমঝোতা স্মারকটি সই হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত বছরের আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের যুক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এবং গণ-অভ্যুত্থানের নৃশংসতার বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত তথ্যানুসন্ধান পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ কাজ করে চলেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন মানবাধিকার সুরক্ষা যে মূল ভিত্তি, মিশন চালুর বিষয়ে এই সমঝোতা স্মারক সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। এটি আমার দপ্তরকে আমাদের তথ্যানুসন্ধানের সুপারিশ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি এটি বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার, নাগরিক সমাজ এবং অন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরাসরি আমাদের অভিজ্ঞতা ও সহায়তা বিনিময়ে যুক্ত হতে সাহায্য করবে।
নতুন এ মিশনটি বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেবে। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করবে।
এর আগে ঢাকায় তিন বছরের জন্য এই মিশন স্থাপনের লক্ষ্যে গত ১০ জুলাই সমঝোতা স্মারকের খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এদিকে সরকারের এই উদ্যোগে ‘গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা’ প্রকাশ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সে সময় ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশে তারা জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় খুলতে দেবে না।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় ঢাকায় স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড় এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র জমিয়তের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এই সিদ্ধান্তকে ‘চরম আত্মঘাতী ও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ’ আখ্যা দিয়ে নাজমুল হাসান কাসেমী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, পূর্ণমাত্রায় সার্বভৌম ও মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্র। এখানে জাতিসংঘের ব্যানারে পশ্চিমা শক্তির কোনো এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার অর্থ শুধু আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা নয়, বরং ইসলাম ধর্ম, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের ওপর সরাসরি আঘাত হানা।
