সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে জামায়াত আমির
গণহত্যার দৃশ্যমান বিচারের দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আগামীর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেকটা লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আগামী দিনে জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশের মালিক নয়, বরং জনগণের সেবক হবে। জুলাই গণহত্যাসহ পুরানা পল্টন, শাপলা চত্বরের সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, সেদিন আবু সাঈদরা যদি বুক পেতে না দিত তাহলে আজও অনেকের জীবন ঝরে যেত। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা, তাদের যেন তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করা হয়। শিশু রাজনীতিবিদ বলে যেন অবজ্ঞা করা না হয়। অন্য কোনো দলকে অবজ্ঞা করবেন না। অরাজনৈতিক ভাষায় কেউ কথা বলবেন না। যারা পারবে না, বুঝবেন তাদের মনে ফ্যাসিবাদ ভর করেছে। জাতীয় ঐক্যের বীজতলা আমরা তৈরি করব।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমির বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ব। তিনি বলেন, ‘চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা আমরা নিতে দেব না, দুর্নীতি সহ্য করব না। এই বাংলাদেশটাই আমরা দেখতে চাই। যুবকদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি।’ বক্তব্য শেষে জামায়াত আমির সব নেতার সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়ান। সাত দফা দাবিতে এই সমাবেশ করে দলটি। বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে বক্তব্যের একপর্যায়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মঞ্চেই ঢলে পড়েন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় উঠে দাঁড়ালেও আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে যান তিনি। পরে মঞ্চে বসেই নিজের বক্তব্য শেষ করেন। সমাবেশ শেষে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাসপাতালে জামায়াত আমিরের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এককভাবে লাখো নেতাকর্মী নিয়ে বড় সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ নিয়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতরা সমাবেশে বক্তব্য দেন। এদিকে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এছাড়া আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, তারাও আমন্ত্রণপত্র পাননি। জামায়াতের পূর্বঘোষিত জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। অনেকেই সমাবেশস্থলের পাশেই রাত্রিযাপন করেন। ভোর হতেই লাখো নেতাকর্মীর ঢল নামে। কয়েক হাজার বাস, কয়েক জোড়া ট্রেন ও শতাধিক লঞ্চসহ বিভিন্ন পরিবহণে করে সারা দেশ থেকে সমাবেশে অংশ নেন তারা। এদিন দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘণ্টা আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ সময় নেতাকর্মীর স্রোত উদ্যান পেরিয়ে রমনা পার্ক, মৎস্যভবন, শাহবাগ, কাকরাইল, প্রেস ক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল নিয়ে দলে দলে সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে জাতীয় নেতাদের বক্তব্য শোনেন তারা। এদিকে সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট স্বাগত জানান দায়িত্বে থাকা নেতারা। জোহর ও আসরের নামাজ মাঠেই আদায় করেন তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, সমাবেশে নেতাকর্মীদের কারও কারও পরনে জামায়াতের লোগোসংবলিত টি-শার্ট। কারও কারও মাথায় বাঁধা দলীয় সাদা ফিতা। আবার কেউ কেউ এনেছেন রংবেরঙের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা। ভিড়ের কারণে সমাবেশের মূল মাঠে প্রবেশ করতে না পেরে অনেকেই শাহবাগ মোড়, রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন সড়কে বসে পড়েন। মৎস্যভবন, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো ডিজিটাল পর্দায় নেতাদের বক্তব্য শোনেন। কেউ কেউ মোবাইলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমাবেশের লাইভ দেখছিলেন। এদিকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে উজ্জীবিত রাখতে সকাল ১০টায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে হামদ, নাত ও ইসলামি সংগীত পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে শাহবাগ, টিএসসি, কাকরাইল, মৎস্যভবনসহ ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
জামায়াত আমির বলেন, আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি, জামায়াত থেকে সংসদ-সদস্যরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে, কোনো এমপি-মন্ত্রী আগামীতে সরকারি কোনো প্লট গ্রহণ করবেন না। কোনো এমপি ও কোনো মন্ত্রী ট্যাক্সবিহীন গাড়িতে চড়বে না। কোনো এমপি ও কোনো মন্ত্রী নিজের হাতে কোনো টাকা চালাচালি করবেন না। কোনো এমপি ও কোনো মন্ত্রী যদি নির্দিষ্ট কোনো নির্দিষ্ট কাজের জন্য বরাদ্দ পেয়ে থাকেন, কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তার প্রতিবেদন তুলে ধরতে বাধ্য থাকবেন।’
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের স্থান নেই। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে জামায়াত। আওয়ামী লীগ এ মুহূর্তে বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক। জামায়াত নতুন বাংলাদেশ চায়। পিআর পদ্ধতি ছাড়া নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করা সম্ভব নয়। ঐকমত্য কমিশনে দু-একটি দল একমত হতে চায় না।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ ঘিরে যে জনসমুদ্র সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রমাণ করে বিগত বছরগুলোতে দলটির ওপর তথা ইসলামি শক্তির ওপর যে জুলুম-নিপীড়ন চালানো হয়েছে, তারই প্রতিবাদে এই গণবিস্ফোরণ ঘটেছে। দলটির নেতাদের কারাগারে ফাঁসি দিয়ে বৃদ্ধ বয়সে হত্যা করা হয়েছে-এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, মজলুম বৃদ্ধ নেতাদের কারাগারে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। নিবন্ধন ও প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ক্রসফায়ার, রিমান্ড, আয়নাঘরে হাজার হাজার লোককে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। দুনিয়া জানে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে মজলুম দল হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। বাংলাদেশে সুশাসনের একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট দাঁড়িপাল্লায় চেয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি বলেন, দলগুলোর মধ্যে আমরাই সম্ভবত বেশির ভাগ শহীদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছি আল্লাহর রহমতে। আমরা একটি সুশাসনের রাষ্ট্র কায়েম করতে চাই।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনে উচ্চকক্ষে যারা পিআর চায় না, তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে। এই বাংলাদেশে ধর্ম পালনের কারণে কোনো মানুষের প্রতি আর কোনো বৈষম্য হতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ওপর আওয়ামী লীগ এবং তার দোসররা যে অপরাধ সংঘটিত করেছে সেটাকে যদি বিচারের আওতায় আনা না হয়, তাহলে ’২৪-এর শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। আর যেন ফ্যাসিবাদ এবং স্বৈরাচার জন্ম দিতে না পারে এজন্য আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে বলে যোগ করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী যে সাত দফা দাবি জানিয়েছে, এটা দেশের জন্য মঙ্গল, জাতির জন্য মঙ্গল। আমরা পুরোপুরি এই সাত দফা দাবি সমর্থন করি।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যবস্থা করা হবে।
সরকারের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, গত ১১ মাস ধরে স্থানীয় সরকারে কোনো প্রতিনিধি নেই। মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। তাই অবিলম্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন।
এনসিপি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে মুজিববাদীদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। গোপালগঞ্জে মুজিববাদীদের আস্তানা গড়ে উঠেছে। মুজিববাদের সদস্যরা এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয়। এই মুজিববাদ একটি আদর্শ। শুধু আইনিভাবেই মুজিববাদের মোকাবিলা করা যাবে না। আমাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবেই মুজিববাদের কোমর ভেঙে দিতে হবে।
গত বছরের জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে পা হারানো শ্রমিক মো. শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোট নিয়ে সবাই যখন ব্যস্ত, তখন জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের কথা কেউ ভাবছে না। একটা গুলি খাওয়ার পর আমার ঠ্যাং চইলা যায়। কিন্তু আমি সরকারের কাছ থেকে কোনো সাহায্য পাইনি।
শহীদ আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী বলেন, ১৬ জুলাই আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে জীবন দিয়েছিল যে কারণে, সেই কারণের বাস্তবতা কি আমরা আজও পেয়েছি? সেই শহীদ ভাইয়ের হত্যার বিচার যদি আমরা না পাই, তাহলে আমাদের শহীদ ভাইদের আমরা ফেরত চাই।
জাতীয় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, খেলাফত আন্দোলনের আমির আবু জাফর কাশেমী, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান প্রমুখ। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাড. মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতের ৭ দফা : এর মধ্যে রয়েছে-২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার; রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার; ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন; জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন; জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন; প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ।
১২ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন, র্যাবের তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী : এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখে পুরো রাজধানী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ১২ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে। ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে এসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া র্যাব তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রস্তুত রাখে ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট। এছাড়া সমাবেশস্থল ও আশপাশ এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য ইউনিফর্ম এবং সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এসএন মো. নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোথাও যেন কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ঢাকার সব জায়গায় পুলিশ রয়েছে।’
