পাকিস্তানকে উড়িয়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ক্রিকেট মৌসুমের বিপরীতে বর্ষা মৌসুমে ঘরের মাঠে সিরিজ। মিরপুরে কৃত্রিম আলোয় ম্যাচ প্রায় ১৪ মাস পর! অনেক অসঙ্গতি থাকলেও মিরপুরের উইকেটের চরিত্র তাতে বদলায়নি। শ্রীলংকা থেকে টি ২০ সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরা বাংলাদেশ নিজেদের হোম অব ক্রিকেটে আরও উজ্জ্বল। তিন দিনের ব্যবধানে কলম্বো থেকে মিরপুরে ফিরে টি ২০তে এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নিল লিটন দাসের দল। আগ্রাসী খেলার মন্ত্র নিয়ে আসা মাইক হেসনের পাকিস্তান টের পেল লাহোর নয়, এটা মিরপুর। দুই মাস আগে নিজেদের আঙিনায় বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করা পাকিস্তান রোববার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি ২০তে মাত্র ১১০ রানে অলআউট। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে এই প্রথম তারা অলআউট হলো। উইকেটে যে বড় ধরনের ‘জুজু’ ছিল না, সেটা দেখিয়ে দিলেন পারভেজ হোসেন, জাকের আলীরা। ২৭ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটের বড় জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামীকাল একই মাঠে, একই সময়ে।
মিরপুরের ‘রাজা’ মোস্তাফিজুর রহমান আবার প্রমাণ করলেন এটা তারই মাঠ! কাল ম্যাচের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন তিনিই। চার ওভারে দিয়েছেন মাত্র ছয় রান, নিয়েছেন দুটি উইকেট। তাকে তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান দারুণ সঙ্গ দেন। সহজ ম্যাচটি আরও সহজ করে দিয়ে পারভেজ হোসেন হন ম্যাচসেরা। সব মিলে এটি পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের চতুর্থ টি২০ জয়। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে মিরপুরে পাকিস্তানকে হারানোর পর ২০২৩ সালে হাংঝু এশিয়াডে তাদের হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য তখন বাংলাদেশের দরকার মাত্র চার রান। লংঅন দিয়ে শৈল্পিক এক বাউন্ডারিতে তুলির শেষ আঁচড় দেন ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে আসা জাকের আলী। অপর প্রান্তে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকা পারভেজ হোসেন দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরেন জাকেরকে। এইতো দুই মাস আগেও পাকিস্তান সফরে দুইশর কাছকাছি রান করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ঘরের মাটিতে কাল বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১১১ রান। ছোট লক্ষ্যে নেমেও সাত রানে বাংলাদেশ হারায় দুই উইকেট। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আর বিপদে পড়তে দেননি পারভেজ হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে তারা দুজনে তুলে ফেলেন ৭৩ রান। আব্বাস আফ্রিদির বলে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে তাওহিদ করেন ৩৬ রান। এরপর জাকের আলীকে নিয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান পারভেজ হোসেন।
ক্যারিয়ারের তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংসে পারভেজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৯ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন চারে ৫৬ রানে। ১০ বলে ১৫* রান করেন জাকের। পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার সালমান মির্জা সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।
এর আগে নয় ম্যাচ পর টি ২০তে টস জেতা লিটন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিতীয় ওভার থেকে উইকেট হারানো পাকিস্তান ইনিংসের পুরোটা সময়ই সংগ্রাম করেছে। মোস্তাফিজ দেখিয়েছেন তার জাদু। তাসকিন একাদশে ফিরে ক্যাচ মিস করলেও বোলিংয়ে নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। মিরপুরে পাকিস্তানের অনভিজ্ঞরা মুখ থুবড়ে পড়েন। অভিজ্ঞ ফখর জামান জীবন পাওয়ার পর করেন সর্বোচ্চ ৪৪ রান। দুই অঙ্কের ঘরে পৌছানো বাকি দুই ক্রিকেটার হলেন খুশদিল শাহ (১৭) ও আব্বাস আফ্রিদি (২২)। পেসাদের দাপটের দিনে ভালো সহায়তা করেন স্পিনাররাও।

