হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত
ডাকসু নির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই
আলমগীর মিয়া ও মাহাদী হাসান
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকালে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন। ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে ডাকসুর নির্বাচন প্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন। বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশ দেন। আনন্দ-উৎসবমুখর পরিবেশে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালীন তা স্থগিতের খবরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্বাচনমুখী ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা প্রতিবাদ করে আদেশ স্থগিতের দাবি জানান। প্রতিবাদমুখর শিক্ষার্থীরা এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, সূর্যসেন হলসহ বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে মিছিল বের করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে আমরা ক্ষুব্ধ। এতে ষড়যন্ত্রকারীরা উল্লসিত। তাদের দাবি, ক্যাম্পাসে ডাকসু নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিদ্যমান। নির্বাচন কমিশনও ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা স্লোগান দেন-‘এক দুই তিন চার, ডাকসু আমার অধিকার’, ‘ডাকসু নিয়ে ষড়যন্ত্র মানি না মানব না’, ‘৯ তারিখ ডাকসু, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘ডাকসু আমার অধিকার, রুখে দেয় সাধ্য কার’, ‘হাইকোর্টের প্রহসন মানি না, মানব না’।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষ অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকেই আমরা হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা করেছিলাম। আজ এখান থেকে ঘোষণা দিতে চাই, ডাকসু নির্বাচন ঠিক সময়ই হবে। সেটাকে বাধাগ্রস্ত করার ক্ষমতা কারও নেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, আপনারা এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছেন, যেখানে নির্বাচন বন্ধের ফাঁকফোকর রেখেছেন। আপনারা শিবিরের জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদ ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকার পরও তাকে নির্বাচনের সুযোগ দিয়ে ফাঁকফোকর রেখেছেন। এছাড়া রিটকারী আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়ায় তিনি ঢাবি প্রশাসনের সমালোচনা করেন। অন্যদিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপিপ্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, ডাকসুসহ সারা দেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করতে নানা ধরনের চক্রান্ত চলছে। আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, ডাকসু বন্ধ করতে যারা সামনে ও পেছন থেকে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের রুখে দিতে হবে। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, ৯ সেপ্টেম্বরই ডাকসু নির্বাচন করতে হবে। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর দাবি, এটা জুলাই শহীদদের দাবি। ডাকসু হবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্বপ্নের ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে ভিপিপ্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ডাকসু নির্বাচন ৫ আগস্টের পরপর?ই হ?ওয়ার কথা থাকলেও প্রায় এক বছর পার হয়ে গেলেও ডাকসু অনুষ্ঠিত হয়নি। অবশেষে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু তারিখ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। কিন্তু এখনো ডাকসুকে বানচালের ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আজ যে ষড়যন্ত্র দেখলাম, শিক্ষার্থীরা তা লাল কার্ড দেখিয়েছে। তিনি বলেন, একজনের প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য রিট করাকে কেন্দ্র করে পুরো ডাকসু বানচালের চেষ্টা চালানো হয়েছে। আমরা যে শঙ্কা করছিলাম, তাই হতে যাচ্ছিল। ডাকসুতে শিক্ষার্থীদের অনুৎসাহিত করতে নানা ম্যাকানিজম উপস্থিত করা হয়েছে। ডাকসু হবে আপনাদের অধিকার। আপনারা উদ্গ্রীব ও আগ্রহী হন ডাকসুর প্রতি। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দেব। ডাকসু নির্বাচন কমিশনপ্রধান অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে কাজ চালাচ্ছিলাম। ক্যাম্পাসে কোথাও কোনো সংঘাত নেই। হাইকোর্ট হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কীসের ভিত্তিতে দিলেন, তা স্পষ্ট নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও নির্বাচনমুখী প্যানেলগুলো যখন সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দাবিতে অনড় অবস্থানে থেকে বিক্ষোভ করছিলেন, ঠিক সে সময়ে বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের কাছে এলো এক স্বস্তির খবর। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিষয়টি জানতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিক্ষোভরত অবস্থায়ই উল্লাস করতে থাকেন। আদেশের ঘণ্টা খানেকের মধ্যে নতুন মোড় নেয় পরিস্থিতি। তাৎক্ষণিকভাবে তারা আবার আনন্দ মিছিল বের করেন। চেম্বার জজ আদালতের আদেশের আগে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন আটকে গিয়েছিল। সাধারণ শিক্ষার্থী ও নির্বাচনমুখী সংগঠনের নেতাদের তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখে ঢাবি প্রশাসন ভাবনায় পড়ে যায়। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আদেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ফলে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো বাধা নেই। তিনি আরও বলেন, নিয়মিত সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন (নিয়মিত বিবিধ আবেদন) না করা পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
চেম্বার জজ আদালতের আদেশের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচন আয়োজন ও সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে খুবই সিরিয়াস এবং সিনসিয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মনে করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বা ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের মধ্যে নতুন সংস্কৃতি তৈরি হবে। এজন্যই আমরা এটা আয়োজন করেছিলাম। এর সব আয়োজন সম্পন্ন হয় ২৬ আগস্ট, যেখানে আমরা ক্যান্ডিডেটদের চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছি। এর পাঁচ দিন পর একটা রিট পিটিশন করে একটা রুল নেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচনকে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে চেম্বার জজ আদালতে শরণাপন্ন হওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, এটি ইনস্ট্যান্টলি আমরা মাননীয় চেম্বার জজের আদালতে এ বিষয়টির যে গুরুত্ব এবং ইম্পোর্টেন্স বলে আমরা চেম্বার জজের আদালতে হাতে লিখিতভাবে আবেদন করেছি। এই লিখিত আবেদন গ্রহণ করে চেম্বার জজ হাইকোর্ট ডিভিশন ডাকসু নির্বাচনকে স্থগিত করে যে আদেশ দিয়েছিল, এই আদেশকে সিএমপি ফাইল বা সিভিল মিসিলেনিয়াস পিটিশন ফাইল এবং শুনানির আগ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। শিশির মনির বলেন, আমরা আগামীকাল (আজ) সকালে সিএমপি দায়ের করব। আশা করি, আগামীকালই (আজ) গুরুত্বের বিচারে বাকিটা আদালতে শুনানি হবে। কিন্তু ইন দ্য মিনটাইম হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। তিনি বলেন, একজন ক্যান্ডিডেট তিনি নিজেও ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চাননি, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন একজন প্রার্থীর ব্যাপারে। ফলে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত থাকাটা কেউই ভালোভাবে নেবে বলে আমি মনে করি না। এই কনসার্ন বিবেচনায় নিয়ে চেম্বার জজ সিএমপি ফাইল এবং শুনানি পর্যন্ত এই (হাইকোর্টের) আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে দিয়েছেন।’
৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন এসএম ফরহাদ। তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ নিয়ে ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা বিষয়ে ২৮ আগস্ট রিট করেন ডাকসু নির্বাচনে বাম জোট মনোনীত ‘অপরাজেয় ৭১’, ‘অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম। সোমবার বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে হাইকোর্টে রিটের ওপর শুনানি শুরু হয়। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন।
তফশিল অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সদস্য পদে প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ২১৭ জন। পাশাপাশি ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এবং দুটি বামপন্থি জোটসহ প্রায় ১০টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে।
শিক্ষার্থী আলীর বিরুদ্ধে শিবিরের লিখিত অভিযোগ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বামজোট মনোনীত ‘অপরাজেয় ৭১’, ‘অদম্য ২৪’ মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলমকে গণধর্ষণের হুমকি দিয়ে আলী হুসেন নামে এক ছাত্র ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। বিষয়টি ভাইরাল হলে তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করেন বলে দাবি করেন ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে ছাত্রশিবির দাবি করছে, এটা তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা। ছাত্রশিবিরের সঙ্গে এই ছেলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আলোচনা-সমালোচনার মুখে ফেসবুকে লাইভে এসেও এই আলী দাবি করেন, তিনি কোনো দলের সঙ্গে জড়িত নন। এবার সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডাকসু নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী এসএম ফরহাদ। সোমবার রাতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যিনি ক্রাইম করেছেন তাকে শিবির নেতা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ আমরা এই ঘটনার পরপরই প্রশাসনকে কল করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তিনি আরও বলেন, মাগরিবের পর থেকে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিবিরের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছে। সেটির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ক্লিয়ার করার জন্য প্রোক্টর বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছি।
