লেকহেড স্কুল চালু করতে ঘুষ নিয়েছিল মোতালেব ও নাসির
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুদক আতঙ্ক * নির্মাণাধীন ৭ তলা বাড়ির মালিক মন্ত্রীর পিও * ৩ জনকে আদালতে তোলা হচ্ছে আজ
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আতঙ্কে ভুগছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দেয়ার কথা বলে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেন ও উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনকে আটকের পরই দেখা দিয়েছে এ আতঙ্ক। আটকের আগে নিখোঁজ ছিলেন এ দু’জন।
সোমবার সরেজমিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে এমন পরিস্থিতি। আর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, একই অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু আলম খানের বিরুদ্ধে। তিনিও রয়েছেন গ্রেফতার আতঙ্কে। সোমবার তার দফতরে খোঁজ নিতে গেলে জানানো হয়, আবু আলম ছুটিতে রয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ে দুদক অনুসন্ধান চালাতে পারে- এমন শঙ্কায় ভুগছেন অনেকেই। শুধু তা-ই নয়, এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়জুড়ে চলছে গ্রেফতার আতঙ্কও। মন্ত্রীর দফতরসহ মন্ত্রণালয়ের কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। এর আগে গত মে মাসে মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের এক কর্মকর্তাকে ঘুষসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে দুদক।
তিনি জামিনে মুক্ত হলেও তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ সুবিধা, চাকরি বাণিজ্য ও প্রশ্নফাঁস সিন্ডিকেটে জড়িয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধেও রয়েছে দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ।
সম্প্রতি জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত গুলশানের লেকহেড গ্রামার স্কুলটি পুনরায় চালু করে দেয়ার নামে স্কুলের মালিক থেকে ছয় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন তিনি। রোববার রাতে ঘুষের এক লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ মোতালেব হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনকে
আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্য মতে, লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হোসেন মতিনকে আটক করা হয়। আটকের পর গোয়েন্দারা তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোতালেব হোসেন ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ঘুষ লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন। তারা লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিকের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছে ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র। সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই তিনজনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
তবে বনানী থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়াসেন্টারের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান। তিনি যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন এবং লেকহেডের মালিকের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে মামলা হবে।তিনি আরও জানান, আটকদের মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ড পেলে তাদের আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘুষের টাকায় রাজধানীর বছিলা রোডে সাততলা বাড়ি বানাচ্ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন। পশ্চিম ধানমণ্ডির বি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর প্লটে নির্মাণাধীন বাড়িটিই তার।
স্থানীয়রা জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এই নির্মাণাধীন বাড়ির নিচ থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্মাণাধীন এই বাড়িটি এখন যে অবস্থায় আছে জমিসহ সেটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। বছিলা রোডের ওই বাড়িটিতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটি দুই ইউনিটের। প্রতি ইউনিটে দুটি বেডরুম, একটি ডাইনিং রুম, দুটি বাথরুম এবং দুটি বারান্দা রয়েছে।
সিঁড়িসহ লিফটের পজিশনও রয়েছে। একদম নিচতলায় গ্যারেজের জন্য জায়গা রাখা হয়েছে। শুধু দোতলায় দুটি ইউনিট সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি তলাগুলো খালি পড়ে আছে। কক্ষের দেয়াল তোলাসহ বাকি কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। মোতালেব হোসেনের প্লটটির উত্তর পাশের এক বাসিন্দা জানান, মোতালেব হোসেনের এই বাড়িটি তিন কাঠা জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে।
২০০৪ সালে মোতালেব হোসেন তিন কাঠা জমি কিনেছিলেন দুই লাখ ৭০ হাজার টাকায়। তখন প্রতি কাঠা জমির দাম ছিল ৯০ হাজার টাকা। মোতালেব হোসেন, জামাল উদ্দিন এবং এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আতাউল্লাহসহ আরও কয়েকজন মিলে একই দাগে সর্বমোট জমি কিনেছিলেন ১৫ কাঠা। এর মধ্যে মোতালেব হোসেন কিনেছিলেন তিন কাঠা, আতাউল্লাহ চার কাঠা, জামাল উদ্দিন চার কাঠা এবং বাকিরা মিলে আরও চার কাঠা জমি কিনেছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দু’জনের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরেছে, নিশ্চয়ই কোনো অভিযোগ আছে। সে অভিযোগ কোর্টে প্রমাণ হবে এবং শাস্তি হবে। সেই বিধান অনুসারে আমাদের যে সিস্টেম আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
দু’জনের নিখোঁজের খবরে সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেও এখন আর ‘চিন্তা করার দরকার নেই’ মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, এটা এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (ধরে) নিলে কিছু না কিছু কারণ আছে। দুর্নীতি হোক, অন্য যেকোনো ধরনের অপরাধ হতে পারে, অপরাধ আছে। আমরা কখনও কোনো অন্যায়কারী, কোনো ঘুষ খাওয়া, দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, বেআইনি কাজ করা কোনো লোককে প্রশ্রয় দেব না, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। নাহিদ বলেন, ‘এখানে (শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে) কারও জন্যই দুর্নীতি, অনিয়ম, ঘুষ বা আইনবিরোধী কোনো কাজ করার সুযোগ বা কোনো অধিকার নেই, তারপরও হয়তো হয়।’
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন প্রায় ২০ বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন। ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) এমপিও শাখায় কাজ করতেন। সে সময় এমপিও নিয়ে নানা রকম দুর্নীতি ও অর্থ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তৎকালীন মাউশির ডিজির নির্দেশে মাউশির পরিচালক অধ্যাপক মো. দিদারুল আলমকে আহ্বায়ক করে ২৭৩ জনের অবৈধ এমপিওভুক্তির ঘটনার তদন্ত কমিটি করে অধিদফতর।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে- ‘মাধ্যমিক শাখার উচ্চমান সহকারী নাসির হোসেন, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিহাটা হাইস্কুলের পাঁচজন সহকারী শিক্ষক, একজন কম্পিউটার শিক্ষকসহ সাতজনকে নিয়মবহির্ভূত এমপিওভুক্তির জন্য দায়ী। নাসিরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায়।’
দুর্নীতি প্রমাণ পাওয়ায় শাস্তি হিসেবে মিরপুর জেলা শিক্ষা অফিসে, জেলা শিক্ষা অফিসারের অফিস সহকারী হিসেবে বদলি করা হয়। সেখানে এক বছর চাকরি করার পর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সরকারি কলেজে বদলি হয় তার। গত চার মাস ধরে তিনি সংযুক্ত বদলি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আসেন। আরও জানা গেছে, নাসির উদ্দিন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বনভোজন আয়োজন কমিটিতে ছিলেন।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, বনভোজনের তারিখ শুরু হওয়ার পর থেকেই নাসির তৎপরতা শুরু করেন। বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনভোজনের নামে বিরাট অঙ্কের চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ আসতে থাকে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তাকে ডেকে সাবধান করার পরও থামেননি।
তাকে ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা উঠানোর দায়িত্ব দেয়া হলেও রাজধানীর এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে তিনি চাঁদা চাননি। বনভোজনের একদিন আগেই তিনি নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত তার কাছে প্রায় দুই কোটি টাকা ছিল বলে কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন। এ টাকা মেরে দেয়ার জন্য তিনি নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তবে তার পরিবার নিখোঁজ বলে বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি করে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডে ফাইল চালাচালি করছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব এবং উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আরও কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এর আগে ৩০ মে বিকালে রাজধানীর পল্টনের পলওয়েল মার্কেট এলাকা থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানকে ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করে দুদকের একটি বিশেষ টিম। এ ছাড়া কোচিংবাজ শিক্ষকদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন পাঠায় দুদক। পাশাপাশি সরকারি নামি-দামি স্কুল-কলেজগুলোতে বছরের পর বছর ধরে চাকরি করছেন এমন শিক্ষকদের একটি তালিকা তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠায়।
এমনকি জাল সনদ ও ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের বিষয়টিও তদন্ত করার উদ্যোগ নেয় দুদক। এসব কাজে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জড়িত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দুদকের এসব কর্মকাণ্ডে বেশ কিছু দিন ধরে আতঙ্কে ভুগছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষামন্ত্রীর পিও মোতালেব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টাইপিস্ট হিসেবে চাকরি পান। নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই পিও হিসেবে আছেন মোতালেব। মাঝখানে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। এরপর দুই মাসের মধ্যে ফের পিওর দায়িত্বে চলে আসেন মোতালেব। মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হওয়ার পর কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি। রাজধানীর বছিলায় ছয়তলা আলিশান বাড়ি তৈরি করেছেন তিনি। এ ছাড়াও মিরপুর ডিওএইচএসে ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের আরও অভিযোগ, মোতালেব ও নাসির ছাড়াও আরও পাঁচজনের একটি গ্রুপ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিন্ডিকেটে করে বদলি, জাল সনদে চাকরি পাইয়ে দেয়া, এমপিও, পদোন্নতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যার বড় একটি ভাগ চলে যেত উপরের দিকে। সবকিছু জানার পরও চুপ ছিল এ মহল। এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে ক্যাডার কর্মকর্তাসহ অনেক রাঘববোয়ালও জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি করে এলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উল্টো প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কারণ এ সিন্ডেকেটের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে লোকজন জড়িত। এ সিন্ডিকেট বদলি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুমতি পর্যন্ত করিয়ে দেন। সবকিছু জানার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বহালতবিয়তে ছিলেন তারা। গ্রেফতার হওয়ার পর মোতালেব ও নাসিরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ চাকরিচ্যুতি করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো। যদিও সোমবার পর্যন্ত এ দু’জনকে বরখাস্ত করা হয়নি।
