এসএসসির পর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যারিয়ার
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এসএসসি বা সমমান পাসের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় শিক্ষাজীবনের দিকনির্ধারণ করার সঠিক সময়। আজকের সিদ্ধান্ত সুযোগ করে দেবে সুন্দর আগামীর। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব সময়ের চাহিদা অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয়। কেননা, বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে সাধারণ শিক্ষার তুলনায় কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা প্রতিযোগিতামূলক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। ক্যারিয়ার হিসেবে কর্মমুখী-কারিগরি শিক্ষা বেছে নেয়াটা বর্তমানে খুবই নির্ভরযোগ্য একটি সিদ্ধান্ত। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারায় কর্মমুখী-কারিগরি শিক্ষার কর্মপরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। ফলে পেশা হিসেবে কর্মমুখী-কারিগরি শিক্ষা খুবই সমাদৃত এবং ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন হয়ে উঠেছে। বর্তমান বিশ্বে চাকরির বাজার এখন এতটাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি গ্রহণ করেও চাকরির নিশ্চয়তা পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। চার বছরমেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষে একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী তার ক্যারিয়ার শুরু করেন উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ছাড়াও অসংখ্য দেশি-বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীই পারে আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে, বেকারত্ব দূর করতে। চাকরির পাশাপাশি সে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত হতে পারে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ : চার বছরমেয়াদি কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সনদপত্র প্রদান করবে। সেই সনদপত্রের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। দেশে-বিদেশে বিদ্যমান সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের যোগ্যতা অর্জন। চাকরির পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং অর্জনের সুযোগ।
আইএসটিতে যেসব প্রোগ্রামে ভর্তি চলছে : ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং
ভর্তির যোগ্যতা : ভর্তি হওয়ার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় যে কোনো বিভাগ থেকে সিজিপিএ ২.০। এইচএসসি (ভোকেশনাল) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সরাসরি চতুর্থ পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ। এইচএসসি (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সরাসরি তৃতীয় পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ।
সুযোগ-সুবিধা : সরকারিভাবে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রতি সেমিস্টারে ৪,৮০০ টাকা বৃত্তি। মেয়েদের জন্য সেমিস্টার ফি ২০ ভাগ ছাড়। প্রতি সেমিস্টারে রেজাল্টের ওপর ৪০ ভাগ ছাড়। এসএসসি জিপিএর ওপর ভর্তি ফিতে ৭৫ ভাগ পর্যন্ত ছাড়। মেয়েদের জন্য আবাসিক হোস্টেলের সুবিধা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাইব্রেরি ও ল্যাবগুলো, ফ্রি ওয়াই-ফাই ক্যাম্পাস।
যোগাযোগ : ইন্সটিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইএসটি), বাড়ি-৫৪, রোড-১৫/এ (পুরাতন ২৬), ধানমণ্ডি, ঢাকা-১২০৯।
ওয়েব : www.istdiploma.edu.bd -আইটি ডেস্ক
