হ্যাকিং কী, বাঁচতে হলে করণীয়
আইটি ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
হ্যাকিং হলো কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইসের সমন্বয়ে তৈরি নেটওয়ার্ককে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রচেষ্টা। সহজ কথায় বলতে গেলে, অসৎ উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করাকে হ্যাকিং বলা হয়ে থাকে। তবে ‘হোয়াইট হ্যাট’ হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে সিস্টেমের নিরাপত্তার উন্নতির জন্য বৈধভাবে প্রবেশাধিকার নেওয়া হয়। এ ধরনের হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সংবেদনশীল ডেটা চুরি, ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিরসনের কৌশল নির্ধারণ করা হয়।
এথিক্যাল হ্যাকার : এ ধরনের হ্যাকার মূলত সিকিউরিটি হ্যাকার। কোনো সিস্টেম বা সফটওয়্যারের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত ও ঠিক করার জন্য তারা সিস্টেমে প্রবেশাধিকার নেন। সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করা যায় কিনা, সেটি পরীক্ষা এবং দুর্বলতা মূল্যায়ন করেন তারা।
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার : হ্যাকার (ব্ল্যাক হ্যাট) এমন হ্যাকার যিনি ব্যক্তিগত লাভের জন্য কম্পিউটার সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। সাধারণত করপোরেট ডেটা চুরি, গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তহবিল স্থানান্তর ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজ করেন তারা।
গ্রে হ্যাট হ্যাকার : এ ধরনের হ্যাকাররা এথিক্যাল এবং ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদের মাঝামাঝি ক্যাটাগরিতে পড়েন। দুর্বলতা শনাক্ত করতে অবৈধভাবেই সিস্টেমে প্রবেশ করেন। এরপর মালিকের কাছে সেগুলো প্রকাশ করেন। কিন্তু কাজ করার আগে কখনো অনুমতি নেন না।
স্ক্রিপ্ট কিডিস : এরা অদক্ষ হ্যাকার। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে বিনামূল্যে বা টাকা দিয়ে কেনা হ্যাকিং সরঞ্জাম ব্যবহার করে অন্যের কম্পিউটার সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন।
হ্যাকটিভিস্ট : এ ধরনের হ্যাকার তার হ্যাকিং দক্ষতা ব্যবহার করে সামাজিক, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান। তারা সাধারণত একটি ওয়েবসাইট হাইজ্যাক করেন, অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। এরপর সেই ওয়েবসাইটে নিজেদের বার্তাসংবলিত ব্যানার ঝুলিয়ে দেন।
গোস্ট হ্যাকার : বর্তমানে এটি খুব প্রচলিত একটি হ্যাকিং। নতুন এ পদ্ধতিতে মৃত ব্যক্তিদের ই-মেইলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট হ্যাকড করে ব্যাংক থেকে অর্থ চুরি করছেন হ্যাকাররা। শুধু তাই নয়, মৃত ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত স্বল্প পরিচিতদের কাছে ফিশিং লিংকযুক্ত বিভিন্ন ধরনের বার্তাও পাঠাচ্ছেন তারা। গোস্ট হ্যাকার নামে পরিচিত এ হ্যাকার দলের পাঠানো ফিশিং লিংকে ক্লিক করলেই মৃত ব্যক্তিদের পরিচিতরাও সাইবার হামলার শিকার হচ্ছেন।
হ্যাকিং থেকে রক্ষা পেতে করণীয় কী?
* শক্তিশালী এবং জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
* লগইনের জন্য মাল্টিফ্যাক্টর (সাধারণত টু ফ্যাক্টর) অথেনটিকেশন সেট করুন
* অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ইনস্টল করুন
* সন্দেহজনক ই-মেইল সম্পর্কে সতর্ক থাকুন
* আপনার অনলাইন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে আনুন। অর্থাৎ প্রয়োজন ছাড়া কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন
* ব্যক্তিগত বা অর্থনৈতিক ডেটার জন্য পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এড়িয়ে চলুন
* কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ফেলে দেওয়া বা বিক্রি করার আগে ভালোভাবে ডেটা মুছে ফেলুন
