|
ফলো করুন |
|
|---|---|
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনীতিতে চলছে অস্থিরতা। জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে হিমশিম খাওয়া মানুষ এখন সঞ্চয়ের বিভিন্ন মাধ্যম খুঁজছেন। তেমনই একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফাহমিদ আনিস। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চাকরি জীবনের শুরু থেকেই তিনি সঞ্চয় ও বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তবে টাকা নিরাপদে থাকবে কি না, সেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ফেরত আসার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা; শুরুতেই এসব প্রশ্নের খোঁজ নেন তিনি। প্রায় ১ বছর আগে ফাহমিদ এক সহকর্মীর সঙ্গে আলাপের সময় জানতে পারেন, গোল্ড কিনেন নামে একটি অ্যাপের কথা। এখানে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে সোনা কিনে জমানো সম্ভব। গত ১ বছর ধরে ধীরে ধীরে এই অ্যাপে একটি সঞ্চয় গড়ে তোলেন ফাহমিদ। একটি দরকারে সেখান থেকে কিছু অংশ বিক্রিও করে টাকা বিকাশে নিয়ে নেন তিনি। ফাহমিদ বলেন, ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, এই অ্যাপের বিদ্যমান গ্রাহকদের অনেকেই এখানে বিনিয়োগ করে সন্তুষ্ট আছেন। পুরো প্রক্রিয়াটি অ্যাপে হওয়ায় জটিলতা কমেছে; কেনাবেচা, সঞ্চয় ও সংগ্রহ হয়েছে অনেক বেশি সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। তিনি জানান, ১ বছরের বিনিয়োগকালেই স্বর্ণের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সোনা অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। সোনার দামের সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্ব বাজারের অনিশ্চয়তায় দেশের বাজারে সোনার দাম প্রতিনিয়ত রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। ২২ ক্যারেট সোনার এক ভরির দাম এখন প্রায় দেড় লাখ টাকা। একসঙ্গে এক ভরি সোনা কেনার কথা এখন অনেকেই ভাবতে পারেন না।
যাদের পক্ষে একবারে বড় বিনিয়োগ করা সম্ভব না, তারা ফাহমিদ আনিসের মতো অল্প অল্প করে জমানো শুরু করতে পারেন। এ বিষয়ে গোল্ড কিনেন এর মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য সোনা সঞ্চয়কে আরও সহজলভ্য করে তোলার কথা চিন্তা থেকেই ২০২৩ সালে গোল্ড কিনেন অ্যাপের সূচনা হয়।’ গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে অ্যাপটি। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া সোনায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে ভালো বিকল্প।
