Logo
Logo
×

আইটি বিশ্ব

বিতর্ক পেরিয়ে জাতীয় নিরাপত্তায় গ্রোক

Icon

আইটি ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (পেন্টাগন) সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআই। জাতীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে এ চুক্তি হলেও, সময়কাল এবং প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। চুক্তির ঘোষণা আসে এমন এক সময়ে, যখন এক্সএআইয়ের গ্রোক চ্যাটবট বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রে। আপডেটের পর চ্যাটবটটি নিজেকে ‘মেকাহিটলার’ বলে পরিচয় দেয়, এমনকি ইহুদি বিদ্বেষমূলক মিমের প্রসঙ্গ টেনে নানা চরমপন্থি মন্তব্যও করে। যদিও মাত্র ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই বিতর্কিত আপডেট সরিয়ে নেওয়া হয় এবং কোম্পানি দুঃখ প্রকাশ করে, তবু সাময়িক সেই সময়ে গ্রোকের আচরণ জনমনে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এমন বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন এত দ্রুত পেন্টাগনের মতো একটি সংস্থা এ প্রতিষ্ঠানকে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যক্রমের অংশ করল। মাস্কের অতীত কর্মকাণ্ড, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে টানাপোড়েন, এমনকি সরকারি ব্যয় হ্রাসের ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা এখন স্বার্থের দ্বন্দ্বের আলোচনায় উঠে আসছে। তবু সিডিএও জানায়, এ চুক্তির লক্ষ্য হলো বিভিন্ন সামরিক ও অসামরিক মিশনে ‘স্বয়ংক্রিয় ও এজেন্টিক ওয়ার্কফ্লো’ তৈরি করা। শুধু প্রতিরক্ষা নয়, ‘গ্রোক ফর গভারমেন্ট’ নামে এক নতুন প্রোগ্রামের আওতায় এখন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য সরকারি সংস্থাগুলোও এক্সএআইয়ের এআই পণ্য কিনতে পারবে জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিএসএ) মাধ্যমে। চুক্তির আওতায় থাকবে কাস্টম এআই মডেল, জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহারের উপযোগী, এমনকি গোপনীয়ভাবে ব্যবহারের উপযুক্ত পণ্যও। বিতর্কের মাঝেও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত নতুন দিগন্তের সূচনা করল, কিন্তু পাশাপাশি এআইয়ের নৈতিকতা, জবাবদিহি ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্নও রেখে দিল।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম