Logo
Logo
×

আইটি বিশ্ব

কেমব্রিজ কেলেঙ্কারির রেশ

জাকারবার্গের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ

Icon

আইটি ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আটশ কোটি ডলারের এক বিরল মামলার মুখোমুখি মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি করেছেন মেটারই শেয়ারহোল্ডাররা। মামলায় বলছে ফেসবুকের শীর্ষ কর্মকর্তারা ২০১২ সালের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (FTC) সঙ্গে করা গোপনীয়তা চুক্তি বারবার ভেঙেছেন।

মামলার কেন্দ্রে রয়েছে সেই কুখ্যাত কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি, যেখানে কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে-মেটা আসলে তার ব্যবহারকারীদের তথ্য কতটা নিরাপদে রাখে?

মামলাটি ডেলাওয়্যারের চ্যানসারি কোর্টে চলছে এবং এতে জাকারবার্গকে প্রধান সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে। আট দিনব্যাপী এ শুনানিতে আলোচনায় থাকবে মূলত মেটার বোর্ড মিটিংয়ের কার্যবিবরণী এবং তথ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলোর যথার্থতা। জাকারবার্গ ছাড়াও মামলার আসামিদের তালিকায় রয়েছেন মেটার সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ, বোর্ড সদস্য মার্ক অ্যান্ড্রিসেন, পিটার থিল এবং নেটফ্লিক্স সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হ্যাস্টিংস। যদিও তারা সবাই আদালতে দাখিল করা নথিতে অভিযোগগুলোকে ‘চরম আবদার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

এ মামলায় মেটা নিজে আসামি না হলেও বিনিয়োগকারীরা চাচ্ছেন-জাকারবার্গ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যেন কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে আটশ কোটিরও বেশি অর্থ ফেরত দেন। যার মধ্যে রয়েছে FTC কর্তৃক ফেসবুককে দেওয়া ৫০০ কোটি ডলারের রেকর্ড জরিমানাসহ অন্যান্য ক্ষতিপূরণ।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেয়ারহোল্ডারদের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিচালকদের ব্যর্থতা প্রমাণ করা খুব সহজ নয়। তবে মামলাটি নজিরবিহীন; কারণ প্রথমবারের মতো ফেসবুক পরিচালনার নীতিগত ত্রুটি ও প্রাইভেসি লঙ্ঘনের বিষয়টি এত বড় পরিসরে আদালতের মুখোমুখি হলো।

জাকারবার্গ ও মেটার পক্ষ থেকে মামলাটি খারিজের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। আদালতের ভাষায়-‘এটি এমন এক মামলা, যেখানে বড় মাত্রার ভুল কাজের অভিযোগ রয়েছে।’

বর্তমানে এআই মডেল প্রশিক্ষণের সময়েও মেটা কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। যদিও কোম্পানিটি বলছে, ২০১৯ সাল থেকে তারা ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি রক্ষায় শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এ মামলা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে-ডিজিটাল যুগে তথ্যের নিয়ন্ত্রণ শুধু প্রযুক্তি কোম্পানির হাতে নয়, বরং তার দায় রয়েছে বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সমাজের প্রতিও।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম