আন্দোলন কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের রাজপথে আন্দোলনের কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কর্মসূচির কোনো প্রয়োজন ছিল না। আলোচনা তো শেষ হয়নি এখনো। আলোচনা চলা অবস্থায় এ ধরনের কর্মসূচির অর্থই হচ্ছে, একটা অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা। যেটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারেও শুভ নয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে স্ত্রী রাহাত আরাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন মির্জা ফখরুল। গত ১০ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। আলোচনার টেবিলে সমাধান হচ্ছে না বলেই রাজপথে নেমেছে-জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের এমন বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার পালটা প্রশ্ন, এভাবে রাজপথে এলেই কি সমাধান হয়ে যাবে? বিএনপি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এই পরিবর্তনের পরে আমরা কিন্তু কোনো ইস্যুতে রাজপথে আসিনি। আমরা আলোচনার মাধ্যমেই সব কিছু সমাধান করতে চাচ্ছি। আমার বিশ্বাস এটা আলোচনার মাধ্যমে শেষ হবে।
পিআর-এর বাংলাদেশে প্রয়োজনীয়তা নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবারই বলেছি, পিআর-এর ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার। আমরা পিআর-এর পক্ষে নই। বাংলাদেশে পিআর-এর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। আর জুলাই সনদের আলোচনা চলছে। অনেকগুলো ইস্যুতে আমরা একমত হয়েছি। সেই বিষয়গুলো নিয়ে সামনে এগোলেই হয়। তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এখানে যেটাই করা হোক সেটাতে জনগণের সমর্থনটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। জনগণের সমর্থন আসে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। সংসদই একমাত্র অধিকার রাখে সংবিধান পরিবর্তন করার।
জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার করে আগেও বলেছি, আমরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান খুব শিগগিরই ফিরবেন।
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি এটা এখনো জানি না যে, সেখানে আমাদের ভূমিকাটা কী হবে? কারণ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার কোনো কথা হয়নি। কথা হলে হয়তো জানতে পারব। আমার মনে হয় দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের বিষয়টি সেখানে প্রাধান্য পাবে। একই সঙ্গে দেশের উন্নয়নের ব্যাপারটা প্রাধান্য পাবে।
দেশের বাইরের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিদ্ধান্ত আমাদেরকে সমন্বিত প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধভাবে নিতে হবে। আমরা সবসময়ই বাংলাদেশের সিদ্ধান্তগুলো দেশে নিয়েছি, এখনও নিজেরা নিজেরাই নেব। বাইরের সিদ্ধান্তের কোনো প্রয়োজন নেই।
