Logo
Logo
×

শেষ পাতা

নিক্সনের উসকানিতে ভাঙ্গায় হামলা ভাঙচুর

Icon

ফরিদপুর ব্যুরো ও ভাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নিক্সনের উসকানিতে ভাঙ্গায় হামলা ভাঙচুর

ফাইল ছবি

সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধ এবং থানা, হাইওয়ে থানা ও উপজেলা পরিষদে ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর, আগুন-নাশকতার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী, ভাঙ্গা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র এমএ ফয়েজ ও তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪০ জনের নাম উল্লেখ করে দুই শতাধিক ব্যক্তি-অবরোধকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

অজ্ঞাত স্থান থেকে নিক্সন চৌধুরীর দুটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বিশৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনানোর জন্য দায়ী করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। শনিবার পর্যন্ত ভাঙ্গায় অবরোধ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপি নেতারা। আজ কোনো কর্মসূচি রয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। পুলিশের পৃথক তিন মামলার ভয়ে ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা ও যারা অবরোধ কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা রাতে গ্রেফতারের ভয়ে বাড়িতে থাকছেন না। এসব মামলায় আলগী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

১৪ সেপ্টেম্বর রাতে আলগী ইউপি চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে প্রধান আসামি করে প্রথম মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা একশ থেকে দেড়শ বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। এ মামলাটি করেন ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান।

পুলিশের করা দ্বিতীয় মামলায় ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ ও আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ মামলাটি করেন ভাঙ্গা থানার এসআই আজাদুজ্জামান। সর্বশেষ ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে হামেরদি ইউপি চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়াকে প্রথম ও তুজারপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওলিউর রহমানকে দুই নম্বর আসামি করে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হয়। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সার্জেন্ট আজাদুর রহমান বাদী হয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় এ মামলাটি করেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা দায়েরের পর ভাঙ্গা উপজেলার প্রায় ১২টি গ্রাম রাতে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে ভাঙ্গার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক গ্রেফতার হয়েছেন।

গত ৬ দিনের ব্যবধানে দুটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও ফুটেজে এ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী তার অনুসারীদের উসকে দিয়ে অবরোধ কর্মসূচির নামে নাশকতা, হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এ বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।

ভাঙ্গার আন্দোলনের সমন্বয়ক পলাশ ঢাকায় গ্রেফতার : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আন্দোলনের সমন্বয়ক পলাশ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর কাওরান বাজারে একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পলাশের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের নগর মানিকদাহ গ্রামে। গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন। তিনি বলেন, পলাশকে ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করেনি।

)
Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম