Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ঘুমন্ত মা ও সন্তানদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন, দগ্ধ ৫

Icon

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঘুমন্ত মা ও সন্তানদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন, দগ্ধ ৫

ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদী সদর উপজেলায় ঘুমন্ত দুই বোন ও তাদের তিন সন্তানের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার শহরতলির সঙ্গীতা এলাকা থেকে দগ্ধ পাঁচজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারে মধ্য থেকে তিনজনকে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান।

দগ্ধরা হলেন- ওই এলাকার ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম, তার দুই ছেলে আরাফাত ও তাওহীদ এবং শ্যালিকা সালমা বেগম ও তার ছেলে ফরহাদ।

চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, ‘রিনার শরীরের ৫৮ শতাংশ, ফরহাদের ৪০ শতাংশ এবং তাওহীদের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা ভালো না। এ ঘটনায় দগ্ধ আরও দুজন এসেছিল, তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

রিনা বেগমসহ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘ফরিদের সঙ্গে সন্তানদের নিয়ে থাকতেন রিনা। তারা অন্যের জমিতে একটি ছাপড়া ঘর তুলে থাকেন। রাতে রিনার সঙ্গে তার বোন ফাতেমা ও তার সন্তানরাও ঘুমিয়েছিলেন। রাতে দরজার নিচের ফাঁক দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেন ফরিদ। পরে এলাকাবাসীর টিনের বেড়া ভেঙে তাদের উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় দুটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’

ওমর ফারুক বলেন, ‘রিনা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াঝাটি হয়েছে বলে শুনিনি। এর পরও ফরিদ এমন কাজ কেন করল বুঝতে পারছি না। আগুন দিয়ে ফরিদ পালিয়েছে।’ ফরিদ পেশায় পিকআপভ্যান চালক এবং তিনি নেশা করেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।

রিনার বাবা মহন মিয়া বলেন, ‘ফরিদ নেশা করে। সে আমার মেয়ের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করছে। রাতে তাদের পুড়িয়ে দিল।’ নরসিংদী থানার এসআই অনিক কুমার গুহ বলেন, মধ্যরাতে ‘৯৯৯’ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। তবে কীভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা আমরা এখনো বলতে পারছি না, তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম