প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর বক্তব্যের প্রতিবাদ বিজিএমইএ’র
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিজিএমইএ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ তাইয়েব আহমেদ ও উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিএমইএ। একইসঙ্গে রপ্তানিমুখী এই খাত সম্পর্কে বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ওই দুই কর্মকর্তা।
বুধবার এক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব উভয়েই বিষয়টি বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। তাদের এই বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের প্রধান রপ্তানিমুখী খাত পোশাক শিল্পকে পরোক্ষভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিজিএমইএ।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতির বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখ করেন যে, গত চার মাস ধরে পোশাক শিল্পের নীতি প্রণয়ন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখা ও চলমান সংকট মোকাবিলা বিষয়ে সরাসরি আলোচনা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়নি।
দ্বিতীয়ত, বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব যে সভার কথা উল্লেখ করেছেন, সেটি ছিল এলডিসি উত্তরণ-সংক্রান্ত একটি সাধারণ পর্যালোচনা সভা, যেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও অংশীজনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এটি কোনোভাবেই বিজিএমইএ বা পোশাক শিল্পের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক কোনো বৈঠক ছিল না। একটি সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকা ও শিল্প খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ পাওয়া- এই দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।
তৃতীয়ত, সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি গভীর উদ্বেগ ও হতাশা থেকে বলেন, ‘আমরা চার মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়েও পাইনি। অথচ স্টারলিংকের কোম্পানি স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলে তার সঙ্গে দেখা করা হয়। যে কোম্পানি ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়, অথচ ৪০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার সময় পাওয়া যায় না।’
বিজিএমইএ সভাপতি দেশের বৃহত্তর রপ্তানি খাত ও শিল্পের স্বার্থে তার উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব উল্লিখিত বক্তব্যকে প্রেক্ষিতহীনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা বিভ্রান্তিকর ও শিল্প খাতের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর। বিজিএমইএ আশা করে, ভবিষ্যতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব দেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী খাত সম্পর্কে বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখবেন।
বিজিএমইএ পুনরায় আশা প্রকাশ করছে যে, দেশের রপ্তানি খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও নীতিগত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্রুত একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক আয়োজন করা হবে।
