Logo
Logo
×

শেষ পাতা

রাজশাহী-২

মিনুর মনোনয়নে নেতাকর্মীরা চাঙা

তানজিমুল হক

তানজিমুল হক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মিনুর মনোনয়নে নেতাকর্মীরা চাঙা

মিজানুর রহমান মিনু। ছবি: সংগৃহীত

দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরেই রাজশাহী-২ (সদর) আসনে পালটে গেছে বিএনপির রাজনীতির দৃশ্যপট। এ আসনে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মিজানুর রহমান মিনু দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছেন। রাজশাহী মহানগর বিএনপির রাজনীতি দীর্ঘ সময় মিনুর নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও তার ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্বে দ্বন্দ্ব, সংঘাত আর ভেদাভেদ ভুলে নেতাকর্মীরা অল্প সময়েই হয়ে উঠেছেন চাঙা। তার মনোনয়নে মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে ফিরেছে ভারসাম্য। আসনটি ফিরে পেতে নেওয়া হয়েছে সবার উদ্যোগে সমন্বিত পরিকল্পনা।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির নতুন নেতৃত্ব মিনুকে বিজয়ী করতে নিরঙ্কুশ সমর্থন জানিয়েছে। মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে দেখা করেছেন। বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। মনোনয়ন বঞ্চিত মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা মিনুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মিজানুর রহমান মিনু ১৯৯১ সাল থেকে টানা ১৭ বছর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। মেয়র থাকাকালেই ২০০১ সালের নির্বাচনে সারা দেশের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। রাজনৈতিক বিচক্ষণতা আর সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে মূলত ১৯৯৬ সাল থেকেই রাজশাহী মহানগর বিএনপির রাজনীতি মিনুর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ২০১০ সালে প্রত্যক্ষ ভোটে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা হলে মিজানুর রহমান মিনু সব ভেদাভেদ ভুলে দলের স্বার্থে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান। মিনুর আহ্বানে সাড়া দেন তার বিরোধীরা। সবাই তার কাছে ছুটে যান। শুভেচ্ছা জানান। নির্বাচনে দৃঢ়ভাবে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।

সদ্যবিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক এবং এ আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা মনোনয়ন ঘোষণার পরেই মিনুকে অভিনন্দন জানান এবং তার সফলতা কামনা করেন। যুগান্তরকে ঈশা বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ- আমরা এ নীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি বড় দল। এখানে প্রতিযোগিতা থাকাটা স্বাভাবিক। একটি আসনে একজনই মনোনয়ন পাবেন। রাজশাহী সদরে মিনু ভাই মনোনয়ন পেয়েছেন। আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কোনো ধরনের দূরত্ব না রেখে আমরা সর্বোচ্চ শ্রম আর মেধা দিয়ে এ আসনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।

রাজশাহী জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত বলেন, এ অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রাণপুরুষ মিজানুর রহমান মিনু। তিনি শুধু দলের নেতাকর্মীদের কাছেই নন, রাজশাহীর সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। ইতোমধ্যেই দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ মিনু ভাইয়ের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেছেন।

এদিকে রাজশাহী মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে দল মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছে। এ সময় মহানগর কমিটির সভাপতি মামুন অর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আমরা যারা বিএনপি করি, তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। একসঙ্গে বাস করলে ভাইয়ে-ভাইয়ে মান-অভিমান হতেই পারে। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। দলের প্রয়োজনে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ইতোমধ্যে নতুন মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আগামী আট তারিখ সবাই একসঙ্গে বসে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে। সেখানেই নির্বাচনি কৌশল এবং প্রচারণার বিষয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম