Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ফরিদপুরের চার আসন

লড়াই হবে বিএনপি, জামায়াত খেলাফত মজলিসের মধ্যে

জাহিদ রিপন

জাহিদ রিপন

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

লড়াই হবে বিএনপি, জামায়াত খেলাফত মজলিসের মধ্যে

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রচার-প্রচারণায় সরগরম ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসন। এ চার আসনে পুরোদমে নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা। বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। ফলে জেলাজুড়ে এখন নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে। চারটি সংসদীয় আসনে বিএনপি, জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের প্রার্থীরা প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন। ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপি তাদের দলীয় কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। শোনা যাচ্ছে, জোটের প্রার্থীকে এ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এ আসন ছাড়া অন্য তিনটি আসনে বিএনপি তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এদিকে জামায়াতে ইসলামী চারটি আসনেই ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালী) আসনে বিএনপির চার প্রার্থী মনোনয়ন চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ-সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্মসম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু, ছাত্রদল নেতা জয়দেব রায়সহ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে কেন্দ্র থেকে এ আসনে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। এ আসনে বিএনপি প্রার্থী দিলে জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ আসনে শক্তিশালী কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে ভোটের হিসাব পালটে যেতে পারে।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্র থেকে কৌশলগত কারণে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়নি। তিনি মনে করেন, দ্রুতই কেন্দ্র থেকে তাকে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে।

আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু বলেন, দল থেকে এখনো কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। আমি মনে করি, সবকিছু বিবেচনা করে দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে।

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক ড. ইলিয়াস মোল্লা বলেন, এবারের নির্বাচনে এ অঞ্চলের মানুষ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দেবে।

খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব শারাফাত হোসাইন বলেন, ফরিদপুর-১ আসনের মানুষ এবার ইসলামপ্রিয় একজনকে ভোট দেবে। ভোটারদের পছন্দের তালিকায় তিনি রয়েছেন বলে জানান।

ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। প্রচার চালাচ্ছেন জামায়াতের প্রার্থী সোহরাব হোসেন ও খেলাফত মজলিসের প্রার্থী আকরাম আলী। এ আসনে বিএনপির সঙ্গে খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর লড়াই হবে বলে জানান ভোটাররা।

শামা ওবায়েদ জানান, এবারের নির্বাচনে মানুষ বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেবে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হবেন বলে আশা করছেন।

খেলাফত মজলিসের প্রার্থী আকরাম আলী বলেন, মানুষ ইসলামি দলকে এবার ক্ষমতায় দেখতে চায়। ফলে আমি জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। জামায়াতের প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক আবদুত তাওয়াব। জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত প্রার্থীর দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে ধারণা ভোটারদের। এ আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য আবদুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি নির্বাচন করলে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি। বিগত দিনে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত নির্বাচন করে আসনটি তাদের দখলে রাখলেও এবার মানুষ বিএনপির প্রার্থীকেই ভোট দেবে।

জামায়াতের প্রার্থী আবদুত তাওয়াব জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভোটাররা এবার আমাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন মিজানুর রহমান মোল্লা, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সারোয়ার হোসেন। এ আসনে বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে খেলাফত মজলিস প্রার্থীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করেন ভোটাররা।

বিএনপির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, এ আসনে এবার বিএনপি চমক দেখাবে। মানুষ ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে সংসদে পাঠাবেন।

খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, এ আসনের মানুষ রিকশা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম