Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বাংলাদেশে পুশব্যাক ইস্যুতে উত্তাল ভারতের লোকসভা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশে পুশব্যাক ইস্যুতে উত্তাল ভারতের লোকসভা

বাঙালি ভাসমান শ্রমিকদের বাংলাদেশে পুশব্যাকের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা চলাকালে ভারতের লোকসভায় ব্যাপক উত্তেজনা ও হট্টগোলের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সংসদ-সদস্যরা এই ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের তৃণমূল সংসদ-সদস্য শতাব্দী রায় লোকসভায় পুশব্যাক ইস্যুতে প্রথম বক্তব্য দেন। তার বক্তব্য চলাকালীন বাধা দেন বিজেপির সংসদ-সদস্যরা। প্রতিবাদে আরেক সংসদ-সদস্য মহুয়া মৈত্রকে সঙ্গে নিয়ে স্পিকারের আসনের দিকে তেড়ে যান লোকসভায় তৃণমূলের এই উপদলনেতা। পরে স্পিকারের জন্য নির্দিষ্ট মাইকের সাহায্যে বক্তব্য দেন মহুয়া মৈত্র। পরে তিনি নিজের আসনে ফিরে যান। এরপর বক্তব্য দেওয়ার সময় শতাব্দীসহ তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিজেপির সংসদ-সদস্য সম্বিত পাত্র।

জিরো আওয়ারে বাংলায় কথা বলা শ্রমিকদের বাংলাদেশে পাঠানো নিয়ে বক্তব্য দেন শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, ওড়িশা থেকে সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে। সেসময় সভা পরিচালনাকারী কৃষ্ণপ্রসাদ তেনেট্টি শতাব্দীকে দাবি পেশ করতে বলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও শতাব্দী বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন বিজেপির সংসদ-সদস্যরা একাধিকবার বাধা দেন। এ অবস্থায় মহুয়াকে সঙ্গে নিয়ে স্পিকারের আসনের খুব কাছে চলে যান উপদলনেতা। বিজেপির প্রবীণ সংসদ-সদস্য জগদম্বিকা পাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তৃণমূলের দুই নারী সংসদ-সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন। পরে নিজেদের আসনে ফিরে আসেন শতাব্দী ও মহুয়া। আসনে ফিরে বক্তব্যের শেষদিকে শতাব্দী বলেন, ‘বাংলায় কথা বললে যদি বাঙালিদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তবে হিন্দি-উর্দুতে কথা বলেন বলে বিজেপি সংসদ-সদস্যদেরও পাকিস্তানে পাঠানো উচিত।’

এ বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি। নিজেদের আসনে বসেই তারা শতাব্দীকে কটাক্ষ করতে থাকেন। এরপর বিজেপির পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সংসদ-সদস্য সম্বিত। ওড়িশা থেকে বাংলার কাউকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়নি দাবি করে তিনি বাংলা ও ওড়িশার মধ্যে শতকের পর শতক চলে আসা সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘ওড়িশার সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক আজকের নয়, বহু যুগ ধরে চলে আসছে। বাঙালিদের আমরা নিজের ভাই বলে মনে করি। যারা বাংলায় কথা বলেন, তারা আমাদের আপন। তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা রয়েছে। কিন্তু ওড়িশার সরকার থেকে শুরু করে কোনো সংসদ-সদস্য বা বিধায়কের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রতি কোনো সহমর্মিতা নেই। ওড়িশায় তাদের থাকার কোনো জায়গা নেই।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম