ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়ম
ওবায়দুল কাদের ও ১৩ সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাবেক ১৩ সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে নির্মিত ফ্ল্যাট ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
অন্য আসামিরা হলেন-সেতু বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. আবদুল জলিল, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, সাবেক অর্থসচিব ও সোনালী ব্যাংক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, সাবেক সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন, ইআরডির সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আজম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া ও সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান ও আইআরডির সাবেক সচিব ড. আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে, প্রতারণামূলকভাবে বিশ্বাসভঙ্গ করে নিয়মবহির্ভূতভাবে এই সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদক জানিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আবাসন নির্মাণের লক্ষ্যে ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। কিন্তু অধিগ্রহণ করা জমিতে গেজেটে উল্লিখিত উদ্দেশ্যের বাইরে গিয়ে সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী ৯৯ বছরের লিজে আবাসন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
দুদক জানায়, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন-২০১৭ এর ১৯(১) ধারা অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত কোনো পূর্বানুমোদন নেয়নি। যা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড।
দুদক বলছে, সেতু কর্তৃপক্ষের আইনেও এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের কোনো ক্ষমতা সেতু কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়নি। এটি সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত একটি প্রকল্প যা একান্ত ব্যক্তিগতভাবে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য ক্ষমতাবহির্ভূতভাবে করা হয়েছে।
