Logo
Logo
×

শেষ পাতা

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশের লক্ষ্য

-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশের লক্ষ্য

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদনহীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাই শেষে খসড়া তালিকা ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এর আগে খসড়া তালিকা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের প্রতিবেদন এলেই আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করব। আমরা আশা করছি ১৫ ফেব্রুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে পারব। খসড়া তালিকায় কতজন বীর মুক্তিযোদ্ধা থাকছেন সেটা এখনই বলতে পারছি না। ১৫ ফেব্রুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি আমরা।’ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ আগেই নিয়েছে সরকার। মন্ত্রী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরই অংশ হিসাবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশিত বেসামরিক গেজেট যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ৩ ডিসেম্বর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭১তম সভায় যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়। জামুকার সুপারিশ ছাড়া যাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে ৩৯ হাজার ৯৬১ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনলাইনে ১ লাখ ৪০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্তির কাজ শেষ হয়েছে। ৩৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধা, যাদেরও গেজেট আছে তাদের নিয়মিত করার জন্য ৩০ জানুয়ারি উপজেলায় তাদের গেজেট যাচাই হবে। আমরা অপেক্ষা করছি হয়তো ১ লাখ ৭০ হাজারের মধ্যেই এটা (মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা) সীমিত থাকবে। আবার কিছু বিচারাধীন আছে, অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, অনেকের আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। যারা আপিল করেছে তাদের আবেদন আছে। এগুলো নিষ্পত্তি করলে হয়তো আরও ২-৫ হাজার হতে পারে। আমার ধারণা কোনো অবস্থায় সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজারের উপরে যাবে না। শহীদ, যুদ্ধাহত, খেতাবপ্রাপ্ত, বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা আরও ১৫ হাজারের মতো হবে। আশা করছি ২ লাখের নিচেই সব ক্যাটাগরির মুক্তিযোদ্ধা থাকবে, যেটা ইতোমধ্যে অনেক বেশি হয়েছিল।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম