Logo
Logo
×

শেষ পাতা

খণ্ড খণ্ড লড়াই

ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ৩০০ মাইল দীর্ঘ রণক্ষেত্র

নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ, উলটো ভুগছে পশ্চিমা অর্থনীতি -পুতিন

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ৩০০ মাইল দীর্ঘ রণক্ষেত্র

ডনবাস অঞ্চল দখলকে ঘিরে বিভিন্ন শহরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার বাহিনীর মধ্যে রাস্তায় রাস্তায় লড়াই চলছে। সেখানে ৩০০ মাইল দীর্ঘ ফ্রন্টজুড়ে একযোগে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। সাঁড়াশি এ হামলাকে ‘যুদ্ধের নতুন পর্যায়’ বলছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ এ রণক্ষেত্রে ইউক্রেনের যোদ্ধারা রুশ বাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তবে ইউক্রেন সরকার স্বীকার করেছে এরই মধ্যে লুহানস্ক এলাকায় ক্রেমিনা এবং আরও একটি ছোট শহর রাশিয়া দখল করেছে।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর আরোপ করা পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিবেশী ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর রাশিয়ার ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমাদের অর্থনীতি খারাপ হয়েছে বলেও দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।

লুহানস্কের আঞ্চলিক প্রশাসক সেরহি হাইদাই জানান, বিভিন্ন শহরের ওপর ভারী গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে এবং চার জন বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে। রুশরা ক্রেমিনার নিয়ন্ত্রণ নিলেও শহরটির সড়কগুলোতে তুমুল যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলছে, ডনবাস দখলের এই ‘নতুন অধ্যায়ে’ রাশিয়ার বাহিনী পুরো রণক্ষেত্র বরাবর একের পর এক হামলা চালাচ্ছে।

রাতভর ১২৬০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা : রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, গত সোমবার রাত থেকে ইউক্রেনের ভেতরে এক হাজার ২৬০টি লক্ষ্যবস্তুর ওপর মিসাইল ছুড়েছে এবং ভারী কামানের গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী। বিমান থেকে ছোড়া লক্ষ্যভেদী মিসাইল ডনবাস অঞ্চলের ১৩টি স্থানে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শহর স্নোভিয়ানস্কও রয়েছে বলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টলাইনের কাছে বেশ কয়েকটি শহরসহ ইউক্রেনের ৬০টি সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা করারও দাবি করেছে তারা। এছাড়া রাশিয়ার বিমানবিধ্বংসী বাহিনী দোনেৎস্ক এলাকায় ইউক্রেনের একটি মিগ-২৯ বিমান ভূপাতিত করেছে। তবে কোনো নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এসব দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। ডনবাস অঞ্চলে রুশপন্থি এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলছেন, রাশিয়ার স্পেশাল ফোর্সেস কমান্ডোরা মারিউপোলের বিশাল আযোভস্টাল ইস্পাত কারখানায় ইউক্রেনের বাহিনীর শেষ অবস্থানের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এডুয়ার্ড বাসুরিন রাশিয়া-২৪ টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, এসব কমান্ডোদের সাহায্য করছে রুশ বিমান এবং গোলন্দাজ বাহিনী।

উলটো ভুগছে পশ্চিমের অর্থনীতি : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, পশ্চিমারা আশা করেছিল, আর্থিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। বাজারে ভীতি ছড়িয়ে পড়বে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। দোকানগুলোতে পণ্যের আকাল দেখা দেবে। তিনি বলেন, ‘আকস্মিক অর্থনৈতিক আঘাতের কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। এতে উলটো পশ্চিমের অর্থনীতির পতন হয়েছে।’ শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মন্তব্যে সোমবার পুতিন এসব কথা বলেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার করপোরেট ও আর্থিক ব্যবস্থার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো। পুতিন বলেন, রাশিয়া নজিরবিহীন এ চাপ ঠেকিয়ে দিয়েছে। তার যুক্তি, রুশ মুদ্রা রুবল শক্তিশালী হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্তের রেকর্ড হয়েছে। তার মতে, নিষেধাজ্ঞায় উলটো যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা বিপদে পড়েছে। এতে তাদের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে এবং জীবনযাত্রার মান কমেছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম