Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কাল বুধবার সকাল নাগাদ নিম্নচাপটি উপকূলের বরিশাল ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় আঘাত হানতে পারে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুই-তিন দিন চট্টগ্রাম খুলনা ও বরিশাল বিভাগে টানা বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য এলাকায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীতের অনুভূতি। 

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ছয় ঘণ্টায় এ ঘূর্ণিবায়ুর চক্র ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার গতিতে এগিয়েছে। এ ঝড় আরও ঘনীভূত হয়ে মঙ্গলবার ভোরের দিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

তবে ঘণ্টা ছয়েকের মধ্যে শক্তি কমে আবার ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে হামুন। আরো উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার দুপুরের পর খেপুপাড়া ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। 

জানা গেছে, নিম্নচাপের অগ্রভাগে থাকা মেঘমালা বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঢাকায়ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে। 
বঙ্গোপসাগরে থাকা নিম্নচাপটি বুধবার সকাল নাগাদ উপকূলের বরিশাল ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বড় কোনো ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এদিকে গভীর নিম্নচাপ এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে আজ মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন।
 

হামুন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম