জাতীয় অধ্যাপক ডা. আবদুল মালিক আর নেই
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শোক জানিয়েছেন। সবাই তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ছিলেন ডা. আবদুল মালিক। মাত্র ১টি ওয়ার্ড, ১টি সিসিইউ আর ২০টি বেড নিয়ে হৃদ্রোগ চিকিৎসার সূচনা করেছিলেন। পরে তার হাত ধরেই গড়ে ওঠে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মতো প্রতিষ্ঠান। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে হৃদ্রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডা. আবদুল মালিকের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মালিক বাংলাদেশের হৃদ্রোগ চিকিৎসার অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি একাধারে একজন সফল চিকিৎসক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক। মানব হিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি নানাভাবে পুরস্কৃত এবং প্রশংসিত হয়েছেন।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অধ্যাপক মালিক শুধু বাংলাদেশেই নয়, উপমহাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বর্ষীয়ান উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসাবে কাজ করে গেছেন।
হৃদরোগ চিকিৎসার এই পথিকৃৎ ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে নভেম্বরে চিকিৎসক হন। পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে চাকরি নেন। ১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠায়। ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাশ করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
আবদুল মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন। তিনি ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক ছিলেন। তার মেয়ে চিকিৎসক ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক। ছেলে মো. মাসুদ মালিক একজন ব্যবসায়ী এবং অপর ছেলে মো. মনজুর মালিক বর্তমানে কানাডায় কর্মরত।
