ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের চতুর্থ দিন
শেয়ারবাজারে বড় পতন
দাম কমেছে ৩০৫ কোম্পানির, বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার কোটি টাকা * সামনে কঠিন পরিস্থিতি আসতে পারে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তিন দিনের ব্যবধানে আবারও বড়পতন দেখল শেয়ারবাজার। ফ্লোর প্রাইস (দাম কমার নিম্নসীমা) প্রত্যাহারের চতুর্থ দিনে বুধবার শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩০৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে দিনশেষে মূল্যসূচক কমেছে ৪৯ পয়েন্ট এবং বাজারমূলধন কমেছে ৮ হাজার কোটি টাকা। তবে বুধবার ডিএসইতে ১ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করায় শেয়ার বিক্রির চাপ রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বড় কয়েকটি হাউজের পক্ষ থেকে বাজারে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এরপরও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্রমতে, সামনে কঠিন পরিস্থিতি আসতে পারে। কারণ যারা শেয়ার কিনে সাপোর্ট দিচ্ছে তাদেরও সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ফ্লোর প্রাইস হলো শেয়ারের দাম কমার নিম্নসীমা। করোনার সময় অস্থিরতা ঠেকাতে নতুন এই নিয়ম চালু করেছে বিএসইসি। এক্ষেত্রে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দামের ভিত্তি হবে ‘আগের ৫ দিনের সর্বশেষ লেনদেনের (ক্লোজিং প্রাইস) গড় দর।’ কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। কিন্তু স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার (একদিনে দাম ওঠানামার সীমা) অনুসারে দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও ২০২১ সালের জুলাইয়ে তুলে নেওয়া হয়। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দরপতন ঠেকাতে গত বছরের ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয় বিএসইসি। রোববার তা তুলে নেওয়া হয়।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে বুধবার ৩৯৬টি কোম্পানির ৩৭ কোটি ২৭ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ১ হাজার ১৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৩০৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি কোম্পানির শেয়ার। ডিএসইর ব্রডসূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৯ দশমিক ৬১ কমে ৬ হাজার ২২৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ১৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১১ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭২ দশমিক ৯১ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসইর বাজারমূলধন আগের দিনের চেয়ে কমে ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
শীর্ষ দশ কোম্পানি : বুধবার ডিএসইতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হলো-সোনালি পেপার, ফুওয়াং ফুড, ওরিয়ন ইনফিউশন, বিডি থাই, আইএফআইসি ব্যাংক, একমি ফার্মা, ইস্টার্ন হাউজিং, সেন্ট্রালফার্মা, দেশবন্ধু পলিমার এবং ফরচুন সুজ। যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হলো-সিকদার ইন্স্যুরেন্স, আইএফআইসি ব্যাংক, আফতাব অটোমোবাইল, খান ব্রাদার্স পিপি, আইএসএন লিমিটেড, খুলনা প্রিন্টিং, লিব্রা ইনফিউশন, মালেক স্পিনিং, আলহাজ টেক্সটাইল, ফু-ওয়াংফুড ও ইনটেক লিমিটেড। অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হলো-এইচ আর টেক্সটাইল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, কেডিএস এক্সেসরিজ, আইপিডিসি, জিএসপি ফাইন্যান্স, বিডি ফাইন্যান্স, বারাকা পাওয়ার, এমএল ডাইং, মতিন স্পিনিং এবং নিউলাইন ক্লথিং লিমিটেড।
