Logo
Logo
×

শেষ পাতা

মাতারবাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্টে কয়লা আমদানি

কার্যাদেশ প্রদানের ওপর পিপিএ’র নিষেধাজ্ঞা

Icon

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কার্যাদেশ প্রদানের ওপর পিপিএ’র নিষেধাজ্ঞা

মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহে কোনো প্রতিষ্ঠানকে নোয়া (নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড) বা কার্যাদেশ প্রদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে সরকার। রোববার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (পিপিএ) এই নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে। বিপিপিএ’র পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মির্জা আশফাকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। চিঠিতে বলা হয়, ইকুয়ানটিয়া ন্যাচারাল রিসোর্সেস লিমিটেড অ্যান্ড অ্যাট্রো ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই নামের একটি কনসোর্টিয়াম পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৫৮ অনুযায়ী রিভিউ প্যানেল বরাবর নিবন্ধন ফি এবং নিরাপত্তা জামানতসহ সিলগালা খামে আপিল দায়ের করেছে। এ অবস্থায় সরকার কর্তৃক গঠিত রিভিউ প্যানেল থেকে আপিলটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো কোম্পানিকে চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ বা নোয়া জারি করা যাবে না।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন যুগান্তরে ‘কয়লা আমদানির শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ, অযোগ্য কোম্পানিকে কাজ দিতে নানা তৎপরতা, কয়লা আমদানির দরপত্র প্রক্রিয়ায় আদর্শমান বজায় রাখা হয়নি’ শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।

ওই রিপোর্টে বলা হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (সিপিজিসিবিএল) বিরুদ্ধে অভিযোগ-দরপত্র প্রক্রিয়ায় বাতিল হওয়া (অযোগ্য) একটি প্রতিষ্ঠানকে কয়লা আমদানির কাজ দিতে চলছে নানা তৎপরতা। দরপত্র প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ জমা দিয়েছে দরপত্রে অংশ নেওয়া একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম। বিদ্যুৎ বিভাগ এই ঘটনায় দ্রুত দরপত্র মূল্যায়নে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট মতামত দিতে সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদকে চিঠি দিয়েছে।

এ ঘটনায় খোদ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগও কয়লা আমদানির দরপত্র প্রক্রিয়ায় আদর্শমান বজায় রাখা হয়নি বলে চিঠি দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগকে। গত এপ্রিলে আইএমইডি মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কয়লা আমদানির দরপত্র প্রক্রিয়ায় আদর্শমান বজায় রাখা হয়নি জানিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর এই চিঠি দেয়।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি চার প্রতিষ্ঠান সিপিজিসিবিএলের কাছে প্রস্তাব দাখিল করলেও ‘আর্থিক সক্ষমতা নেই’ অজুহাতে প্রথমেই তিন প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়া হয়। পরে ২৭ মে কারিগরি কমিটির সভায় চারটি কনসোর্টিয়ামের সবগুলোর আর্থিক প্রস্তাব বাতিল হয়। সর্বশেষ ৩১ মে সিপিজিসিবিএলের বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনায় বাতিলকৃত একটি কনসোর্টিয়ামকে নিয়ে সমঝোতা করার অনুমোদন দেওয়া হয়। অপর তিন কনসোর্টিয়ামের একটি গত ২৯ মে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে দরপত্র পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেন। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ৯ জুন বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত দরপত্র মূল্যায়নে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট মতামত প্রদানের জন্য সিপিজিসিবিএলকে চিঠি দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

জানা গেছে, দরপত্রের প্রাথমিক শর্তানুযায়ী, কমপক্ষে ১২ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা আমদানির অভিজ্ঞতার শর্ত উল্লেখ ছিল, যা কয়লা আমদানি সংশ্লিষ্ট দরপত্রের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় শর্ত। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য ওই শর্তটি শিথিল করে ১২ মিলিয়ন মেট্রিক টন লোহা, সার, কেমিক্যাল, সিমেন্ট অথবা খাদ্যশস্য আমদানির অভিজ্ঞতাকে যোগ্যতা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম