Logo
Logo
×

শেষ পাতা

কোটা আন্দোলনে ছাত্রদলের নৈতিক সমর্থন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কোটা আন্দোলনে ছাত্রদলের নৈতিক সমর্থন

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতারা বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছে। চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের অতি সীমিত সংখ্যক কোটা ছাড়া বাংলাদেশে এখন আর কোনো কোটার প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির সংগঠনের অবস্থান জানান। ১১ দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রনেতা আতিকুর রহমান রাসেলের সন্ধানের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল। এ সময় নিখোঁজ রাসেলের বাবা আবুল হোসেন সরদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেলেকে ফেরত চান। তার কান্নায় উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের চোখে অশ্রু দেখা যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

রিজভী বলেন, ‘সবাই জানি আতিকুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আছে। কিছুটা বিরতি দিয়ে সরকার গুমের সংস্কৃতিতে ফিরে আসছে। বিএনপি-ছাত্রদল যেন সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে উচ্চকিত না হয়, তাই মনোযোগ সরাতে এসব গুম করা হচ্ছে। মাফিয়া-সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনো আয়নাঘরে আতিকুরকে বন্দি রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ডিসি-এসপিতে এত ছাত্রলীগ কীভাবে আসে? প্রশ্নফাঁসের মধ্য দিয়েই তারা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের প্রসঙ্গে রুহুল কবির বলেন, ‘রাজকোষ এখন শূন্য। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দেশে দেশে ঘুরছেন। ফিরে আসছেন খালি হাতে। ২০ বিলিয়ন ডলার চাইলেন, ১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেলেন। যাত্রা সংক্ষিপ্ত করে চলে এসেছেন। এখন অন্য অজুহাত দিচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় অপকর্ম ঢাকতে একের পর এক ইস্যু সামনে আনছে সরকার।’

রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, আমাদের সহযোদ্ধা গুম হয়ে আছেন। আমরা অত্যন্ত উৎকণ্ঠা ও আশঙ্কার মধ্যে আছি। আমাদের পাশাপাশি রাসেলের পরিবারও অত্যন্ত উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় পার করছেন। রাসেল গুম হওয়ার পরও সরকারের প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সাড়াশব্দ করছে না, একটা কথাও বলছে না। অবিলম্বে রাসেলকে যদি আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, তাহলে দু-একদিনের মধ্যেই ঢাকাসহ সারা দেশে এর প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করব।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব বলেন, ঢাকা কলেজ শাখার সহসভাপতি আতিকুর রাসেলের নামে কোনো মামলা নেই, কোনো ওয়ারেন্ট নেই। বিনা কারণে তাকে গুম করা হয়েছে। রাসেলের সন্ধানে ছাত্রদল রাজপথে থাকবে, আমরা আমাদের ভাইদের অবশ্যই প্রতিশোধ নেব।

রাসেলের বাবা আবুল হোসেন সরদার বলেন, আমার ছেলে ১১ দিন ধরে কোথায় আছে, কী খায় আমি জানি না। তার কোনো সন্ধান পাইনি, কেউ সন্ধান দেয়নি। পুলিশের উচ্চপর্যায়েও গিয়েছি, ফল শূন্য।

তিনি বলেন, সন্তানকে আমার বুকে ফেরত চাই। আমি জানি না, আমার বাবা কী করেছে? কী অপরাধ আমার বাবার? জীবনে একটা ককটেল কিংবা ঢিলও মারেনি, রাজনীতি করা কি তার অপরাধ? রাসেলের সন্ধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

কোটা আন্দোলন ছাত্রদল নৈতিক সমর্থন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম