অশ্রুঝরা আগস্ট
বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা স্বাধীন পতাকা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও নির্দেশে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। উদিত হয় স্বাধীনতার নতুন সূর্য। দাসত্বের শিকল ভেঙে বাঙালি ছিনিয়ে আনে লাল-সবুজের রক্তস্নাত স্বাধীন পতাকা। তাই তো বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, স্বাধীন পতাকা। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। ঘাতকরা চেয়েছিল ইতিহাসের চাকাকে পেছনে ঘোরাতে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর নাম। বরং তারাই নিক্ষিপ্ত হয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে। আজও আগস্ট এলেই বাঙালি জাতি শোক আর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুকে। সেই শোকাবহ আগস্টের পঞ্চম দিন আজ। ১৯৭৫ সালের ৫ আগস্ট ছিল মঙ্গলবার। দিনটি ছিল বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের জন্মদিন। এদিন সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইএ বোস্টার। সাড়ে দশটায় সাক্ষাৎ করেন শিল্পমন্ত্রী। বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে সিলেটের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াস, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী ও গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী সাক্ষাৎ করেন। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামসুর রহমান বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎ করেন বেতারের ডিজি আশরাফুজ্জামান খান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিল পাস করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা আস্ফালন করে বলেছিল, ‘পৃথিবীতে তাদের বিচার করার কারও সাধ্য নেই’। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বাংলার মাটিতে বিচারে ফাঁসি হয়েছে। ফাঁসির রায়ও কার্যকরের মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
নোবেলজয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে, তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।
ভারত বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসাবে বর্ণনা করে বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।
