Logo
Logo
×

শেষ পাতা

খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখতে চাই: সারজিস আলম

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখতে চাই: সারজিস আলম

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, বিজয়, স্বাধীনতা, সংবিধান ও রাষ্ট্র কোনো দিন একজন ব্যক্তির হতে পারে না। কোনো পরিবারের হতে পারে না। খুনি হাসিনা সবকিছু এক ব্যক্তি ও পরিবারে পরিণত করেছিল। এ কারণে তার এমন বিদায় হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো সরকারপ্রধানের এমন বিদায় হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, খুনি হাসিনাকে দেশের মাটিতে ফাঁসির মঞ্চে দেখতে চাই। মঙ্গলবার বিকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম আরও বলেন, এখনো দেশে নির্বাচনের আগের রাতে পকেটে কয়েকশ বা কয়েক হাজার টাকা পকেটে ঢুকিয়ে ভোট নেওয়া গেলে তাতে রাষ্ট্রের ভালো কিছু আশা করা যায় না। জনগণ টাকার বিনিময়ে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে এমপি-মন্ত্রী যিনিই হবেন-তিনি দেশের মানুষকে শোষণ করবেন। ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক হবে দেশের সঙ্গে দেশের। ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির বা দলের সঙ্গে দলের নয়। বাংলাদেশের মানুষ ভারতবিরোধী নয়, বাংলাদেশে মানুষ ভারতের জনগণবিরোধী নয়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ উগ্র সাম্প্রদায়িক মোদিবিরোধী। উগ্র সাম্প্রদায়িক মোদি মুসলমাদের রক্ত মারিয়ে ভারতে ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে কোনো দল বা কোনো মানুষ বিন্দুমাত্র প্রশ্ন করার সাহস করে তাহলে জীবনের বিনিময় হলেও প্রতিহত করব। লড়াই এখনো শেষ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিভাজন থাকলে দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিবেকবোধকে কেউ দল বা গোষ্ঠীর কাছে যেন বেঁচে না দেয়। কোনো নেতা যদি শেখ হাসিনার অন্ধ ভক্ত হন, তাহলে দু’টো বিষয় হবে-একটি তার উদ্দেশ্য ভালো নয়; দুই ওই নেতা নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন। সৈয়দপুরকে পূর্ণাঙ্গ জেলা ঘোষণার ব্যাপারে বক্তব্যের শেষে তিনি উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সৈয়দপুরের ফাইভ স্টার মাঠে মহান বিজয় দিবস ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, রচনা ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, মতবিনিময় এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সারজিস প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র প্রতিনিধি জাবেদ আত্তারি। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক রেদওয়ান ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দিকী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম, সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার, শহর জামায়াতের আমির শরফুদ্দিন খান, শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্র প্রতিনিধি সাকিব খান। সবশেষে ৩৬ জুলাইয়ে বিজয়ীর হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা অবশ্যই বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধার মধ্য দিয়ে সন্তান লালনপালন করেও বিশেষ সুবিধা নিতে চায়। তারা আর যাইহোক বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষ হতে পারেন না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

সারজিস পোস্টে লিখেন, মাঠে কাজ করা দিনমজুর, রিকশাচালক, শ্রমিকসহ দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের সন্তানদের বিপরীতে গিয়ে এ কোটা সুবিধা নেওয়া আপনার দুর্বল ব্যক্তিত্বের পরিচয় তুলে ধরে। আপনার আত্মসম্মানের মানদণ্ড সেট করে আপনার আত্মমর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তিনি লিখেন, সারাদিন সরকার, দেশ, মানুষ নিয়ে হাজারটা সমালোচনা করলাম, আর নিজের বেলা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকলাম অথবা বৈষম্যের পক্ষে সাফাই গাইলাম; এসব ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ভণ্ডামির বহিঃপ্রকাশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেন, থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় একাডেমিক সুযোগ-সুবিধা অন্য সাধারণ দশটা পরিবারের চেয়ে ভালো পাওয়ার পরেও যদি আপনার সন্তান নিজের যোগ্যতায় একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পায়, তাহলে সে যেখানে যোগ্য অনুগ্রহ করে তাকে সেখানেই ভর্তি করান। তুলনামূলক যোগ্য কারও হক নষ্ট করবেন না। জীবনের সব ধাপে কিন্তু এই কোটা সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই পরিশ্রম করে নিজ যোগ্যতার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো করে সন্তানকে গড়ে তুলুন।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লিখেন, পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক।’ ‘পোষ্য কোটার দিন শেষ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ।

সারজিস আলম শেখ হাসিনা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম