সম্পাদক পরিষদের আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল
অন্যের মতকে চাপিয়ে দেওয়া সমর্থন করি না
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ক্ষমতায় থাকুক আর না থাকুক, বিএনপি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কখনোই অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেওয়াকে বিএনপি সমর্থন করবে না-এমন মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা নির্দ্বিধায়, দৃঢ়চিত্তে, স্পষ্ট করে বলতে পারি-আমরা বরাবরই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব। ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি, যেখানেই থাকি, এই ব্যাপারে আপনাদের (সম্পাদক পরিষদ) নিশ্চয়তা দিতে পারি। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে রোববার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম। এতে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। সম্পাদকদের মধ্যে বক্তব্য দেন দ্য নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকরা।
বিএনপিই প্রথম সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে উন্মুক্ত করেছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশালে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দায়িত্বে এসে সংবাদমাধ্যমগুলো চালু করেন, স্বাধীনতা দেন।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলি না যে, আমরা একেবারে ধোয়া তুলসী পাতা। কিন্তু এ কথা নিঃসন্দেহে বলতে পারি, আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য অনেক বেশি কাজ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নতুন নয়। আমরা যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছি, সেই ষাটের দশক থেকে এ বিষয়টি সবচেয়ে সামনে এসেছে। পাকিস্তান শাসকদের বিরুদ্ধে সেই সময়েও আমরা কথা বলেছি, আন্দোলন করেছি, কাজ করেছি। একটি সুবিধা ছিল, তখন সংবাদমাধ্যমের একটি নিজস্ব স্বকীয়তা ছিল। যেখানে তাদের কোনো গোষ্ঠীভুক্ত করা অতটা সহজ হতো না। তাদের দেশপ্রেম, আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ অনেক উঁচু দরের ছিল।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে আগের চেয়ে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে প্রায় ১৬ ভাগ বেড়েছে। সমস্যা দেখা দেয় তখনই, যখন দেখি কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠী আরেকটি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে। কোনো কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীও সেটার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক কর্মসূচিও দেয়। আমি জানি না, একটি গণতান্ত্রিক মুক্ত সমাজে এটা কতটুকু গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে?
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের কাছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধ একটি বিশাল ব্যাপার। এটাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় আমাদের চিন্তা। এজন্য আমরা সেটার জন্য লড়াই করেছি, যুদ্ধ করেছি, প্রাণ দিয়েছি। দীর্ঘ ৯ মাস অবিশ্বাস্য রকমের কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করেছি। সেই জায়গায় আমরা কোনো আপস করতে চাই না। এটাকে অনেকে পছন্দ করতে পারেন, নাও করতে পারেন। তাতে ব্যক্তিগতভাবে আমি কিছু মনে করি না। কারণ, দ্যাট ইজ মাই বেসিস, ওটাই আমার মূল ভিত্তি।
সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বিপক্ষে প্রচার চালানো হয় যে আমরা সংস্কারের বিপক্ষে। প্রায়ই বলা হয়, সংস্কার নয়, আমরা নির্বাচন চাই। অথচ সংস্কারের বিষয়টি শুরু হয়েছে আমাদের দ্বারা। আমরাই একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা এনেছি। আমরাই সংসদীয় ব্যবস্থায় গেছি রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা থেকে। অনেক আপত্তি সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আমরা সংবিধানে নিয়ে এসেছি। এগুলো বাস্তবতা। ওই বাস্তবতা থেকে অযথা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে অন্য পথে দেখানো, এটার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের প্রতি অতীতে যে নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে, আপনাদের আইনকানুন যে পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী চরিত্র দেওয়া হয়েছে, এ ব্যাপারগুলোয় আমরা লড়াই করেছি। এখনো করছি। খুব স্পষ্ট ভাষায় দৃঢ়ভাবে আবারও বলতে চাই, আমরা কখনোই অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেওয়াকে সমর্থন করব না। আমরা আরেকজনের মতের স্বাধীনতাকে নিশ্চয়ই দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেব।’ তিনি বলেন, আমি যা চিন্তা করব, আমি যা বলব, সেটাই সঠিক; তাহলে সঠিকভাবে আমরা গণতন্ত্রচর্চা করতে সক্ষম হব না। একইভাবে সংবাদমাধ্যম আমার কথা বললে ঠিক আছে, আর আমার কথা না বললে ঠিক নেই-এই চিন্তাভাবনাও কিন্তু গণতান্ত্রিক চর্চাকে শক্তিশালী করবে না।
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৫৩/৫৪ বছরের মধ্যে বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় আছে, এর মতো গণমাধ্যমের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন কোনো সরকার আসেনি। আগামী দিনে আসবে কি না জানি না। আমি মনে করি, যারাই ক্ষমতায় যাবেন, তারাই বলবেন এই নীতিটাকে তারা কীভাবে প্রণয়ন করবেন। কীরকমভাবে বাস্তবায়ন করবেন। তিনি বলেন, ওই পার (ভারত) থেকে শেখ হাসিনা প্রতিদিন বিবৃতি দেন। আবার আজকাল গ্রুপ বৈঠক করেন। মানে অনলাইনে গ্রুপে গ্রুপে ডাকেন এবং তাদের নির্দেশনা দেন। এরকম চলতে দেওয়া কি ভালো হচ্ছে? আমার কাছে মনে হয় না। আবার এরকম মুক্ত, অবাধ তথ্যের চর্চা বন্ধ করবেন, সেটাও কি নীতির মধ্যে পড়ে? ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব সাংবাদিকের নামে মামলা করা হয়েছিল, সেই মামলাগুলো এখনো আছে। কিন্তু ড. ইউনূসের মতো মানুষ এ মামলাগুলো তুললেন না কেন? নাহিদরা (সাবেক উপদেষ্টা) যতদিন দায়িত্বে ছিল, ওরা তুলল না কেন? কোনো কারণ নিশ্চয়ই আছে। যে কারণে তুলতে পারেনি অথবা তোলেনি।
সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, যে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিশ্রুতি আমরা সবাই দিচ্ছি, সেটি আরও কীভাবে কার্যকর করা যায়, সেই বিষয়ে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করে রূপরেখা তৈরি করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত আসা উচিত। তিনি বলেন, এই সরকারের সময়েও আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। যেহেতু আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলাম, সেজন্য অনেক সমালোচনা আমার ওপরে আসলে বর্তায়। আমরা একটা কথা বিভিন্ন সময় বলেছি, ১৬ বছর একটা ফ্যাসিস্ট শাসনের মধ্য দিয়ে অন্যসব প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের দলীয়করণ হয়েছে এবং ফ্যাসিজমের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত হয়েছে, গণমাধ্যমও এর মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠান।’ বিগত সময়ে মিডিয়া ও ফ্যাসিজমের যে সম্পর্ক ছিল, সেই সম্পর্ক থেকে, আদর্শিক আধিপত্য জায়গা থেকে মিডিয়া বের না হলে জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রত্যাশা করি, জনগণের মিডিয়ার প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা, সেটি সুসম্পন্ন হবে না। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন ভুল তথ্য (মিস ইনফরমেশন) প্রকাশিত হতে দেখেছি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমগুলোর আরও পেশাদারি দেখানো প্রয়োজন। কারণ, দল বা রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে এর ভিকটিম আমরা হয়েছি। আমাদের কথা নানা সময়ে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গণমাধ্যমের যে সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও ইতিবাচক হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর ও প্রতিষ্ঠা করার কিংবা যারা গণতন্ত্রের পক্ষে অঙ্গীকারবদ্ধ, তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করব কি না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ লড়াইটা করব। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি চাইলেন আর অনেকগুলো গণমাধ্যম খুলে ফেললেন, এ জায়গাটা বন্ধ হওয়া দরকার। গণমাধ্যমের মালিকানার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার। যাতে সেখানে কোনো একচেটিয়া ব্যবস্থা কায়েম না হয় এবং একচেটিয়া স্বার্থের সেবক হিসাবেও গণমাধ্যম না দাঁড়ায়। এটা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের অংশ। রাষ্ট্রের এমন কোনো আইন থাকা চলবে না, সরকার যাতে গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরতে পারে। যা যা কালো আইন হয়েছে, সব বাতিল করতে হবে।
ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, আমরা গণমাধ্যম জনগণের সেবার কাজে নিয়োজিত। আমরা দেশপ্রেমিক, সমাজকে উন্নত করতে চাই। আমরা বাক্স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, মতপ্রকাশে বিশ্বাস করি। তবে এটা সত্য, আমাদের গণমাধ্যম মুক্ত না। শেখ হাসিনার সময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল না। বিগত সরকার গণধিক্কৃত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল ওই শাসনামলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকা। তিনি বলেন, ২৬৬ জন সাংবাদিক আজ খুনের মামলার আসামি। ১৩ জন সাংবাদিক জেলে। ৮ মাস জামিন পাচ্ছেন না। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিলেও দেশে এখন সাংবাদিকদের নামে খুনের মিথ্যা মামলা দিয়ে, কাউকে কাউকে জেলে পুরে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটা মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। বলছি না কেউ কোনো দোষ করেনি। কেউ প্রকৃতপক্ষে কোনো অপরাধ করে থাকলে সেই সুনির্দিষ্ট দোষ চিহ্নিত করে দায়ী করা হোক। তাতে কারও আপত্তি থাকবে না।
মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, যে দেশে প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়, সেই দেশে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি। খুব অবাক লাগে, আমি বিস্মিত। জানি না আমি কাকে দায়ী করব। আমি কি সরকারকে দায়ী করব, না মালিককে দায়ী করব। সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিক ইউনিয়ন কী করেছে। আমাদের সম্পাদক পরিষদ, যেটাতে আমি প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে আছি, ট্রেজার হিসাবে আছি। আমি মনে করি, আমরাও ব্যর্থ হয়েছি। তিনি বলেন, ‘তবে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে অনেকখানি। এক বছর আগে যে অবস্থা ছিল, সেই অবস্থা এখন আর নেই। অনেকখানি পালটেছে। তবে আমরা হতাশ হচ্ছি বেশকিছু অ্যাকশনের কারণে।’
নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, সারা বিশ্বে যখন ঘটা করে গণমাধ্যম মুক্ত দিবস পালন করতে হয়, তখন বুঝতে হবে যে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন খর্বিত হচ্ছে। বাংলাদেশে বিগত সময়ের চেয়ে এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে পার্থক্য সূচিত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে সূচক, বাংলাদেশ এখনো সেই সূচকে অনেক নিচে অবস্থান করছে। গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করার প্রধান শক্তি রাজনৈতিক দলগুলো। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে অসম চুক্তি রয়েছে, তা এখনো রিভিউ করার কোনো উদ্যোগ দেখিনি। বরং আমরা দেখছি যে, যারা আন্দোলন করেছে, তারা ১৬ ডিসেম্বর মানে না-এর দায় কাদের? নারী সংস্কার কমিশন মানে না-এর দায় কাদের? একদিকে আমরা যেমন আশাবাদী হয়ে উঠছি, অন্যদিকে আবার আশঙ্কাও দেখছি। যে কোনো সংস্কারের বটম লাইন হবে স্বাধীনতা। একাত্তরকে ধরেই সব ধরনের সংস্কার হতে হবে।
