আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে দেশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে: প্রেস সচিব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় দেশের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এদিকে গেল ১৫ বছরে সাংবাদিকদের ভূমিকা পর্যালোচনা করার জন্য সরকার জাতিসংঘকে চিঠি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, কীভাবে সাংবাদিকরা মানুষকে জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে হত্যার বৈধতা দিয়েছে। এই কাজগুলো কারা করেছে? সেটা রিভিউ করা হবে। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্সে’ তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আমার মনে হয় যে, আমাদের পুরো সোসাইটি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো সবাই কিন্তু এটা গ্রহণ করেছে। পুরো বাংলাদেশ একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়াতে।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতাটা পরিশুদ্ধ হোক, কেউ যেন চামচামি সাংবাদিকতা না করে। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ভয়াবহ রকমের চামচামি হয়েছে। আমরা একটা কমিশন করেছিলাম, তারা রিপোর্ট দিয়েছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘের অফিসকে আমরা চিঠি দিচ্ছি। এটা আজ-কালের মধ্যে যাবে। তারা যেন একজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ নিয়ে এসে বাংলাদেশের জার্নালিজম কীভাবে ব্যর্থ হয়েছে গত ১৫ বছরে এটা নিয়ে রিভিউ করে। কীভাবে সাংবাদিকরা মানুষকে জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে হত্যার বৈধতা দিয়েছে। এই কাজগুলো কারা করেছে? একটা ভালো লোক। আমি জানি তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই। তাকে আপনি জঙ্গি ট্যাগ করে দিলেন! এটার মানে কি? আপনি তাকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্ররোচিত করছেন তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে, তাকে মেরে ফেলতে। এই কাজগুলো তো হয়েছে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করছে। আমরা চাই কথা বলার স্বাধীনতা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক। অনেকের সমালোচনা সত্ত্বেও আমরা কোনো মিডিয়া বন্ধ করিনি।
তিনি বলেন, তিনটা ভয়াবহ রকমের পাতানো নির্বাচন হলো। ওই সময় তো সাংবাদিকতার ব্যর্থতা হয়েছে। মাওলানা সাঈদীর রায়ের পর যে ধরনের একটা ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। হেফাজতের ক্র্যাকডাউনে কী ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। ওই সময়ের সাংবাদিকদের রোলটা (ভূমিকা) কী ছিল?
প্রেস সচিব বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রত্যেক দেশে এমন ঘটনা ঘটলে সাংবাদিকদের ভূমিকা কিন্তু সামনে আসে। আমেরিকায় যেসব সাংবাদিকরা প্ররোচিত করে দেশকে ইরাক যুদ্ধে পাঠিয়েছে ২০০৩ সালে। তাদেরকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। সেখানে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম সোহেলের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সহসভাপতি গাযী আনোয়ার।
