ডলারের দাম এখন থেকে বাজারভিত্তিক: গভর্নর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মার্কিন ডলারের দাম এখন থেকে ‘বাজার’ ঠিক করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুবাই থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, আশা করছি, দাম এখনকার দামের আশপাশে থাকবে। বর্তমানে প্রতি ডলারের দাম ১২২ টাকা। তার মতে, আইএমএফের কিস্তিসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন (সাড়ে ৩শ কোটি) ডলার জুনের মধ্যে হাতে পেতে পারে বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, ড. মো. হাবিবুর রহমান ও কবির আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা আহসান উল্লাহ এবং নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের দরকষাকষি চলছিল। মূলত সে কারণে আইএমএফ ঋণের কিস্তি ছাড় করছিল না। এর মধ্যে মঙ্গলবার জানা যায়, বাংলাদেশ ডলারের বিনিময় আরও নমনীয় করতে রাজি হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড় করতে রাজি হয়েছে আইএমএফ। এরপর বুধবার গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ডলারের বিনিময় হার এখন থেকে ‘বাজার’ ঠিক করবে।
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আরও বলেন, ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার এখন ভালো সময়। তার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, এখন প্রবাসী আয় ভালো আসছে, রিজার্ভও স্থিতিশীল, উন্নতি হয়েছে লেনদেন ভারসাম্যের। জুনের মধ্যে ৩৫০ কোটি ডলার আসবে। এতে রিজার্ভ আরও বাড়বে। ফলে বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার এটাই ভালো সময়।
জানা যায়, বুধবার সকালে ব্যাংকগুলোকে বাজারভিত্তিক দামে লেনদেন করতে বলা হয়েছে। তবে এখনকার দামের সঙ্গে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে গভর্নর বলেন, ডলার দরে কোনো রকম অস্থিতিশীলতা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করবে। তবে আশা করছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের তা করতে হবে না। এলসি নিষ্পত্তি করতে কোনো ব্যাংকের যদি কোনো রকমের চাপ তৈরি হয়, তাহলে অন্য ব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে তা পূরণ করার পরামর্শ দেন গভর্নর।
তিনি বলেন, আগের চেয়ে আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খোলা অনেক বেড়েছে। তবে বাজারে ডলারের কোনো রকম সংকট তৈরি হয়নি। বিদেশে অর্থ পরিশোধেও কোনো রকম বিধিনিষেধ দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ বাড়িয়েছি, সামনে আরও বাড়ানো হবে। তবে রিজার্ভ এখন যা রয়েছে তা পর্যাপ্ত। দেশের অর্থনীতি একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। সামনের মাসে আরও কমবে বলে আশা করছি। আগস্টের পর থেকে রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল শেষে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৭ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ পদ্ধতির হিসাবে ২২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার।
