Logo
Logo
×

শেষ পাতা

লন্ডনে তারেক রহমান

আসুন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটা গড়ি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আসুন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটা গড়ি

সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। বহু মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে। এখন দেশ গড়ার পালা। তাই সবার কাছে আমার আহ্বান-আসুন সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটা গড়ি। আমাদের মধ্যে বিভিন্ন মতপার্থক্য থাকতেই পারে। গণতন্ত্রে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখা, সবাইকে কর্মসংস্থান করে দেওয়া, দেশে আইনি শাসন প্রতিষ্ঠার মতো বিষয়গুলোতে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়। আসুন, সব রাজনৈতিক দল যেন একসঙ্গে মিলে কাজ করতে পারি, দেশটাকে গড়তে পাড়ি, দেশটাকে সুন্দরভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

রোববার সন্ধ্যায় পশ্চিম লন্ডনের একটি হোটেলে আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, ইউকে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, আমরা সরকারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এই নির্বাচনের জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। গুম হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এটি মানুষের রাজনৈতিক অধিকার। আমরা এর মাধ্যমে এমন একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেই সরকার মানুষের রাজনৈতিক কল্যাণে কাজ করবে। বহির্বিশ্বে যারা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করবে তাদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের সব বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রয়োজনে খেলোয়াড় তৈরি করতে সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হবে।

তারেক রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের ৪টি বিভাগে বিকেএসপি রয়েছে। আমরা সরকার গঠন করলে প্রথমে সব বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করব, যাতে ভালোমানের খেলোয়াড় তৈরি হয়। আর যারা খেলাধুলার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রি-প্রেজেন্ট করবে তাদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে আমরা ভিন্নভাবে সাজাব। ছেলেমেয়েরা শুধু পড়ালেখা করবে না, তাদের খেলতেও হবে। ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা যত বেশি করবে তার মধ্যে পড়ালেখাও বাড়বে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সর্বত্র ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার মাঠের অভাব রয়েছে। ঢাকা শহরে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার জন্য সবুজ মাঠ বাড়াতে প্রতি দুটি ওয়ার্ডের মাঝে একটি সবুজ পার্ক তৈরি করা দরকার। এক্ষেত্রে লন্ডনের পার্কগুলোকে উদাহরণ হিসাবে নেওয়া যায়। লন্ডনের কিছু জায়গায় পরপর সবুজ গাছপালাবেষ্টিত পার্ক রয়েছে। আমাদের দেশে শহরগুলোতেও এ রকম পার্ক দরকার।

ছেলেমেয়েদের খেলাধুলাকে আরও গতিশীল করতে স্কুলের সিলেবাসে পরিবর্তন নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেবাসে সব বিষয়েই ১০০ নম্বর থাকে। সেখান থেকে ২০ নম্বর কমিয়ে ৮০ নম্বরে নিয়ে আসা হবে। ওই ২০ নম্বরের জন্য পাঁচটি স্পোর্টস বিষয় বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে। একজন শিক্ষার্থী ২০ নম্বরের জন্য পাঁচটি স্পোর্টস বিষয়ের যে কোনো একটি বেছে নেবে। এভাবে দেশের স্কুলগুলো থেকে মেধাবী খেলোয়াড়দের বাছাই করে আগামী ২০২৮ সালের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোকে স্মরণ করতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, বড় ভাই হিসাবে ছোট ভাইকে নিয়ে গর্ব করার জন্য যা যা থাকা দরকার, কোকোর মধ্যে তার সবই উপস্থিত ছিল। কোকো একজন স্পোর্টসম্যান ছিল, একজন ক্রীড়াবিদ ছিল। আর আমি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিলাম। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। কোকো তার অবস্থান থেকে চেষ্টা করেছে বাংলদেশের ক্রীড়াব্যবস্থার জন্য অবদান রাখতে। যতটুকু সম্ভব ততটুকু করার চেষ্টা করেছে।

আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, ইউকের সভাপতি আবু নাসের শেখের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সরফরাজ সরফুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহসম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর শাহে আলম, সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ডা. সরকার মাহমুদ আহমেদ শামীম প্রমুখ।

তারেক রহমান

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম