সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল দাবি
স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে রোববার ও সোমবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কর্মচারী নেতারা। দাবি আদায়ে রোববার তিন এবং সোমবার দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবেন। আপাতত কর্মবিরতি পালন করবেন না। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম এ কর্মসূচির কথা জানান।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে রোববার উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। সোমবার স্মারকলিপি দেওয়া হবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে। অন্যদিকে মাঠপর্যায়ে থেকে প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা প্রধানদের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বলেন, আলোচনা যাই হোক আমাদের একটা টাইম ফ্রেম থাকতে হবে। আমরা তো আজীবন অপেক্ষায় থাকব না। ঈদের আগে আমাদের হাতে সময় আছে ৪ দিন। প্রধান উপদেষ্টা শনিবার দেশে ফেরার কথা শুনেছি। সে ক্ষেত্রে রোববার আমাদের আশাব্যঞ্জক একটি খবর পাওয়ার কথা। তারপরও আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাইনি, সরে যাব না। এ নেতা বলেন, অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন করতে পারলে এরপরে অভিন্ন নীতিমালা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।
আশা করি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সচিবরা প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর তার সঙ্গে আলোচনা করে একটি ভালো সিদ্ধান্ত দেবেন। আমরা সেই প্রত্যাশায় থাকব। তিনি বলেন, রোববার আমরা ইতিবাচক খবর পেলে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে, একটা ভালো ফলাফল নিয়ে ঈদটা উদযাপন করব।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়। এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর শনিবার (২৪ মে) থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এরপর সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সংগঠন সম্মিলিতভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যায়।
