Logo
Logo
×

শেষ পাতা

স্বাস্থ্য খাতের বাজেট

হাসপাতাল সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত বাজেটে রেফারেল হাসপাতাল ও ৫০ শয্যার অধিক সব হাসপাতাল স্থাপনের জন্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক-কর হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। জনগণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধসহ সব ধরনের ওষুধশিল্পের কাঁচামাল আমদানি এবং এপিআই তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক-কর অব্যাহতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে কমতে পারে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম। এছাড়া রোগীদের নিবিড় পরিচার্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও অ্যাম্বুলেন্সে শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বাজেটে জাতীয় উন্নয়নে স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ বাবদ বরাদ্দ ছিল ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এবার ৫০১ কোটি টাকা বেড়েছে স্বাস্থ্য খাতের বাজেট।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সব নাগরিককে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে সেবার পরিধি বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল নিয়োগে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশীয় শিল্পের বিকাশ এবং জনস্বার্থে হাসপাতাল বেড উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ, খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি ও স্থানীয়ভাবে কেনার ক্ষেত্রে সমুদয় ভ্যাট ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। ওষুধশিল্পের কাঁচামাল আমদানি এবং এপিআই (অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রেডিয়েন্ট) উৎপাদনের ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের শূন্য পদ পূরণে চিকিৎসক, নার্স (সেবিকা), টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট ও স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগ ত্বরান্বিত এবং প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টির সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আগামী অর্থবছরে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ৪ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। কেয়ারগিভারদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নার্সিং শিক্ষায় পিএইচডি কোর্স চালু এবং আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একটি নার্স শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিষয় বিবেচনায় রয়েছে। সাধারণ ও আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম