পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত
শোলাকিয়া ও গোর-এ শহীদ বড় ময়দান প্রস্তুত
কিশোরগঞ্জ ও দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দান দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দান এবং কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অসংখ্য মাইক বসানো হয়েছে। পর্যাপ্ত অজুখানা ও পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শুধু জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করতে পারবেন। শনিবার ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার বেলা ১১টায় শোলাকিয়া পরিদর্শন শেষে ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, শোলাকিয়া ময়দানে সকাল ৯টায় ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন কিশোরগঞ্জ শহরের বড়বাজার মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। তিনি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন। তাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে অজুর পানি ও ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মেডিকেল ক্যাম্প থাকবে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও কাজ করবেন। তিনি আরও জানান, ওয়াচ-টাওয়ার ও মাঠের আশপাশে পর্যাপ্তসংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন। ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) কাজেম উদ্দীন বলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রতিটি গেটে আর্চওয়ে থাকবে। তিনি আরও জানান, আশপাশের সব স্থাপনায় পুলিশ ডিউটিতে থাকবে। হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোও নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই। র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার আশরাফুল কবির বলেন, ওয়াচ-টাওয়ারে স্বয়ংক্রিয় স্নাইপার রাইফেল থাকবে। বেশকিছু প্যাট্রোল কার শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেবে।
বুধবার দিনাজপুর পৌরসভার প্রশাসক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, দিনাজপুরে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় পবিত্র ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন কয়েক দফা প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। ঈদগাহ মাঠ নামাজের উপযোগী এবং দৃষ্টিনন্দন করতে মাঠ সংস্কার ও রংসহ বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম জানান, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদগাহ মাঠজুড়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠ এলাকায় তিনটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। মুসল্লিদের নিয়ে দুটি স্পেশাল ট্রেনের একটি ঠাকুরগাঁও থেকে ছেড়ে সেতাবগঞ্জ হয়ে গোর-এ-শহীদ ময়দান এবং অপরটি পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে চিরিরবন্দর হয়ে আসবে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন জানান, মুসল্লিদের শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে যাতায়াত ও নামাজ আদায় নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৩৫০ জন পুলিশ সদস্য, সাদা পোশাকে ডিবি এবং ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
