বিজিএমইএ নির্বাচন
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হলেন মাহমুদ হাসান খান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
২০২৫-২৭ মেয়াদে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফোরাম জোটের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান। আগামী ১৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। শনিবার নির্বাচন বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস বেয়ারার পদে এই ফল ঘোষণা করে।
অন্য অফিস বিয়ারাররা হলেন-প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান। সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রেজোয়ান সেলিম, মিজানুর রহমান (ফাইন্যান্স), ভিদিয়া অমৃত খান, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী এবং মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী।
নির্বাচন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রতিটি পদে কেবল একটি করে বৈধ মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে এবং কোনো আপিল দায়ের করা হয়নি। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন না হওয়ায় সব প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। নবনির্বাচিত বোর্ড আগামী ১৬ জুন বর্তমান প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
৩১ মে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে বিজিএমইএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বাধীন ফোরাম জোট। মোট ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে ফোরাম জোট ৩১টি পদে জয়লাভ করে। ঢাকায় ২৬টি পরিচালক পদের মধ্যে ২৫টি এবং চট্টগ্রামে নয়টি পরিচালক পদের মধ্যে ছয়টি পদে জয়লাভ করেছেন এই জোটের প্রার্থীরা। বাকি চারটি পদে সম্মিলিত পরিষদ জয়লাভ করে। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল। সদস্য সচিব ছিলেন মোহাম্মদুল হাসান। আর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন আশরাফ আহমেদ ও সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন।
এবারের নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন মোট ৭৬ প্রার্থী। ফোরাম জোট ও সম্মিলিত পরিষদ ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী দেয়। বাকি ছয়জন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে স্বতন্ত্রভাবে ভোটে অংশ নেন। প্যানেল লিডার হিসাবে নির্বাচনে ফোরাম জোটের নেতৃত্ব দেন রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান (বাবু)। আর সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম। নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মোট এক হাজার ৮৬৪ ভোটের মধ্যে এক হাজার ৬৩১ জন গার্মেন্ট মালিক তাদের ভোট দেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৩৭৭ ও চট্টগ্রামে ২৫৪ ভোট কাস্ট হয়েছে, যা মোট ভোটারের প্রায় ৮৭ শতাংশ।
