আবু সাঈদ হত্যা
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জুলাই আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণ করে নির্বিচারে হত্যা এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রোববার পৃথক এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলার চার আসামিকে রোববার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন-রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী (আকাশ)। চার আসামির মধ্যে আমির হোসেন ও সুজন চন্দ্র রায়কে ১৮ জুন এবং শরিফুল ইসলাম ও ইমরান চৌধুরীকে ১৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সি আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
এদিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে হত্যাকাণ্ডের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ দুই মাস সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এদিন এ মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন ও তৎকালীন এসি তানজিল আহমেদকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি নিরস্ত্র জাকির হোসেন, ওয়ারী জোনের তৎকালীন এডিসি এসএম শামীম, ডেমরা জোনের তৎকালীন এডিসি মাসুদুর রহমান মনির, তৎকালীন এসি নাহিদ ফেরদৌস পলাতক রয়েছেন। চারজনের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা মামলায় কোনাবাড়ী থানার সাবেক ওসি কেএম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল আকরাম হোসেন, কনস্টেবল ফাহিম ও কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান সজিবকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গুলিতে নিহত কলেজছাত্র হৃদয় হোসেনের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান প্রসিকিউটর এসএম মইনুল করিম। শুনানিতে মইনুল করিম বলেন, এই মামলার তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় প্রয়োজন। পরে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
