সেনা সদরের সংবাদ সম্মেলন
নির্বাচন নিয়ে অফিশিয়াল নির্দেশনা পায়নি সেনাবাহিনী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের অফিশিয়াল নির্দেশনা এখনো পায়নি সেনাবাহিনী। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনসংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী। ঢাকা সেনানিবাসে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের (কর্নেল স্টাফ) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন। তার মতে, বিভিন্ন সীমান্তে পুশইন (ভারত ও মিয়ানমার থেকে মানুষকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো) ঠেকাতে কাজ চলছে। তবে সেখানে সেনাবাহিনী যুক্ত হওয়ার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না। উত্তরে শফিকুল ইসলাম বলেন, এখনো সরকারের পক্ষ থেকে অফিশিয়াল কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নির্বাচনসংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করব। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মব ভায়োলেন্স কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী যেকোনো পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা মব ভায়োলেন্স অনেকাংশে কমিয়ে নিয়ে এসেছি। রংপুরের ঘটনাটিতে যে মব ভায়োলেন্স ঘটেছিল সেখানে সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে উপস্থিত হওয়ার কারণে সেই পরিস্থিতিটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, কোনো দেশ থেকে পুশইন কাম্য নয়। এটি প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং কোস্টগার্ড কাজ করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সীমান্তে গোয়েন্দা তৎপতা বাড়ানো হয়েছে। প্রয়োজনে সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী যুক্ত হবে। তবে সেনাবাহিনী যুক্ত হওয়ার মতো পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর অভিযানে গত তিন সপ্তাহে ৫৬টি অবৈধ অস্ত্র ও ৯৯০ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৯৯৬ জনকে এবং এ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ২৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৯৯৬ জন গ্রেফতারের মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, ডাকাতসহ অন্যান্য অপরাধী রয়েছে। কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ২৭ মে সেনাবাহিনী একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কুষ্টিয়া জেলা থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতার করেছে। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের অপর দুই সহযোগী শুটার আরাফাত এবং শরীফকে পাঁচটি অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগজিন, ৫৩ রাউন্ড অ্যামোনিশন ও একটি স্যাটেলাইট ফোনসহ গ্রেফতার করা হয়। মোহাম্মদপুর এলাকায় আরও একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে বুড়িগঙ্গা ফিলিংস্টেশন এলাকা থেকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ফরিদ আহমেদ বাবু ওরফে এক্সেল বাবুসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ৪ জুন মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প এলাকা থেকে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলকে ১০ জন সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে গত তিন সপ্তাহে ৪৫২ জন মাদক কারবারি এবং আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচ হাজার ৪৭৬ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
