শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ভিডিওটিতে তার সঙ্গে এক নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর শুক্রবার সকালে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ছবি ও টেলিগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘শরীয়তপুরের ডিসি মো. আশরাফ উদ্দিন। একজন জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যক্তি। উনি এই ছবিগুলো নিজেই খুশি মনে তুলেছেন। ভিডিও করেছেন। ছবির উনাকে (ছবিতে থাকা নারী) বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এখন বিয়ে না করে হুমকি দিচ্ছেন। গল্পের খানিকটা কমেন্টের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া আছে।’

টেলিগ্রামে পোস্ট করা ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন শার্টের বোতাম খুলে বুক খোলা অবস্থায় লাল-হলুদ রংয়ের জামা ও সালোয়ার পড়া এক নারীকে কোলে নিয়ে আদর করছেন। এছাড়া ওই ভিডিওতে মোবাইলের ভিডিও কলে থাকা অবস্থায় আশরাফ উদ্দিনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ভিডিওতে থাকা নারী বলেন, উনি (ডিসি) আমার নিকটাত্মীয়। বিয়ের কথা বলে স্বামীর সঙ্গে আমার ডিভোর্স করিয়েছে। তিনি আমার সংসার, সমাজ ধ্বংস করে পথে বসিয়েছেন। এখন আমাকে বিয়ে না করে, উলটো মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি এর আগে আমাকে মারধর করেছেন। ২৫ বছরের সংসারে আমি কোথাও সম্পর্কে জড়াইনি। কিন্তু তিনি আমাকে মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করে তার প্রতি আসক্ত করেছেন। তিনি এখন কলঙ্কিনী বানিয়ে আমাকে ছেড়ে দিয়েছেন। তার জন্য কোথাও আমি মুখ দেখাতে পারি না। কিন্তু তিনি রাজার হালে রয়েছেন। কোটি কোটি টাকা কামাবেন সেই ধান্দা করছেন। ওর কারণে দুটি সংসার নষ্ট হয়ে গেছে। আমি এখন তার বিচার চাই।

জেলা প্রশাসকের এমন ছবি-ভিডিও প্রকাশের পর এ নিয়ে সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ক্ষোভ জানিয়ে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, ডিসি তার চরিত্র ধরে রাখতে পারেননি। তার কাছ থেকে এ ধরনের কাজ কেউ প্রত্যাশা করেন না। এ বিষয়ে কথা বলতে আশরাফ উদ্দিনের মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক হয়ে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ২৭তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পূর্বে নিউরো ডেভেলপমেন্ট ও প্রতিবন্ধী ট্রাস্টের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।