শিক্ষক নিবন্ধন
আন্দোলনরতদের ওপর জলকামান সাউন্ড গ্রেনেড
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আন্দোলনরতদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং মৃদু লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় আটজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরতরা সড়ক অবরোধ করলে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ১০টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলপ্রত্যাশীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা তোপখানা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ সড়ক ছেড়ে দিতে বললেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যান। পরে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা ফের জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে পুনরায় ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ৮ আন্দোলনকারীকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের দাবি, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ বা এনটিআরসিএ ইচ্ছাকৃতভাবে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে নিবন্ধন পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিয়েছে। ভাইভা পরীক্ষায় কখনো সনদের নম্বর যোগ হয় না। সেই ক্ষেত্রে বর্তমান এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ সনদের নম্বর যোগ করে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দিয়েছে। তাই অবিলম্বে ওই শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন সনদ দেওয়ার দাবি জানান তারা।
একাধিক আন্দোলনকারী যুগান্তরকে বলেন, এনটিআরসিএ ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষায় ব্যাপক বৈষম্য করেছে। তারা কোনো চাকরি দিচ্ছে না। শুধু একটা সনদ দিচ্ছে। তারা ঠুনকো অজুহাতে সনদ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। তাই অবিলম্বে ফেল করা সব শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়ার দাবি জানাই।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাদের অনুরোধ করা সত্ত্বেও রাস্তা ছেড়ে না দেওয়ায় জলকামান থেকে পানি ছোড়া হয়। এছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এবং মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় বসার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী। ৪ জুন চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হলে তাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
এদিকে রোববার দুপুরে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ দাওয়া দিলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। বিকালে অবশ্য তারা পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
