আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
টিকা গ্রহীতাদের সংক্রমণ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি : সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২১ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তবে যারা আগেই অন্তত তিন ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের দেহে এই নতুন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মাত্রায় প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। তাদের করোনা হলেও তীব্র রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম। মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে (বিএমইউ) আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে ‘কোভিড-১৯ ট্রেন্ড ২০২৫ ইন বাংলাদেশ : এভিডেন্স বেইজড ইনফরমেশন’ শীর্ষক উপস্থাপনায় এ তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমইউর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বী চৌধুরী। তিনি বলেন, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। বিশ্বের কিছু উন্নত দেশে ফাইজার ও বায়োটেক কোম্পানি জেএন.১ ভেরিয়েন্ট প্রতিরোধী মডিফায়েড টিকা বাজারে এনেছে। যদিও এই টিকা বাংলাদেশে এখনো সহজলভ্য নয়। তবে যারা আগে অন্তত তিন ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের দেহে এই নতুন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মাত্রায় প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। তাদের করোনা হলেও তীব্র রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।
তিনি বলেন, বর্তমানে সাধারণ ফ্লু ও কোভিড-১৯ একসঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যাকে ‘ফ্লুরোনা’ নামে অভিহিত করা হচ্ছে। এই মিলিত সংক্রমণ বিশেষ করে তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। যেমন-অতিরিক্ত স্থূল ব্যক্তি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী, হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিসে ভোগা মানুষ, ক্যানসার রোগী, কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত এবং যারা ডায়ালাইসিস বা ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
করণীয় প্রসঙ্গে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, এই সময়টায় উচ্চঝুঁকিপূর্ণদের জনসমাগম এড়িয়ে চলা, বাইরে গেলে সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, বারবার সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, সুষম খাবার খাওয়া এবং প্রচুর পানি পান করা জরুরি।
বিএমএইউর চিকিৎসক ডা. আবেদ হোসেন বলেন, করোনা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে নতুনরূপে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সম্প্রতি ওমিক্রনের জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট এক্সএফজি ও এক্সএফসি শনাক্ত হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্ট দুটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ভ্যারিয়েন্ট অব মনিটরিং’ তালিকায় থাকলেও ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন নয়।
আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত : গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। তবে নতুন করে আরও ২১ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৪৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৮ জনে।
