মব সৃষ্টি করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাকে জুতার মালা পরানোসহ মারধরের মামলায় গ্রেফতার উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালতে ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক আতিকুর রহমান এ তথ্য জানান।

এদিন হানিফকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এর আগে সোমবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল হানিফকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ২২ জুন রাজধানীর উত্তরার বাসায় ঢুকে একদল লোক নূরুল হুদাকে বের করে আনে। জুতার মালা পরিয়ে তাকে হেনস্তা করে পুলিশে সোপর্দ করে। জুতা দিয়ে নূরুল হুদাকে আঘাত ও ডিম নিক্ষেপ করে। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ২৪ জুন উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক সজীব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার ৬ আসামিই স্বেচ্ছাসেবক দলের : সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেন নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পুলিশ ফরিদসহ ছয়জনকে শনাক্ত করেছে। তারা সবাই ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মঙ্গলবার এসআই মো. সজীব বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় ফরিদসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে হানিফ মিয়ার নামও রয়েছে।

মামলায় এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের তুরাগ থানার সভাপতি দুলাল, উত্তরা পশ্চিম থানার আহ্বায়ক সেলিম, উত্তরা পূর্ব থানার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাইয়ুম। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, মামলায় কেএম নূরুল হুদাকে জুতা দিয়ে মারধর, তার মানহানি এবং বাসায় অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া নূরুল হুদার বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে মব তৈরি করা হয়েছিল। মামলার এজাহারে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের আসামি করা হয়েছে তারা সবাই ঘটনাস্থলে ছিলেন।